বোতল কাণ্ডে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ডিবি অফিসে নিয়ে তদন্ত ব্যতীত কোন পদক্ষেপ নিলে ডিবি অফিস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে এই হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, আমার ভাইয়ের কিছু হলে, ডিবি অফিস ঘেরাও হবে; বিপ্লবে বলিয়ান, নির্ভীক জবিয়ান, এক দুই তিন চার হল আমার অধিকার।
এ সময় জবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আরিফিন বলেন, বোতল কান্ডে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট ভাই ইসতিয়াককে ডিবি জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে আটক করে নিয়ে গেছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, আমার ভাইয়ের কিছু হলে ডিবি অফিস ঘেরাও হবে। অবশ্যই এ বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত হতে হবে।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অনিন্দ্য রায় বলেন, 'ওর কোন ক্ষতি করা হলে আমরা এ বিষয়ে আমরা জবিয়ানরা সর্বোচ্চ প্রতিবাদ জানাবো। রাষ্ট্র যদি একটি বোতলের বিপরীতে টিয়ারশেল, গুলি ও রক্তকে দাঁড় করায় তাহলে তা পুরোপুরি অন্যায় হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রাত ১০টার দিকে তিনি সেখানে পুলিশি ব্যারিকেটের সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎই তাকে লক্ষ্য করে একটি পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয়। বোতলটি গিয়ে উপদেষ্টার মাথায় লাগে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি হলো_ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে শিক্ষাবৃত্তি। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্নাঙ্গ বাজেট কাটছাট না করেই অনুমোদন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আমার বার্তা/সাদিয়া সুলতানা রিমি/জেএইচ