সুস্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, শারীরিক সৌন্দর্যের জন্যও নারী-পুরুষ উভয়েই ভাবেন ওজন কমাবেন। তাই ওজন ঝরানোর জন্য কী খাবেন আর কী করবেন, এ নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই।
ওজন কমানোর জন্য কেউ কেউ এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তোলেন, যেগুলো বাইরে থেকে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও আসলে শরীরের ক্ষতি করে। বিশেষ করে না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা, অতিরিক্ত প্রোটিন বার খাওয়া, বা প্যাকেটজাত ফলের রস পান—এসব অভ্যাস আমাদের ধারণার বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রক্রিয়াজাত বা সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের বদলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার সব সময়ই খাওয়া ভালো। ওজন কমানোর আর একটি গুরত্বপূর্ণ শর্ত হলো পর্যাপ্ত ঘুম। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া মেদ ঝারানোর জন্য শরীরচর্চা বা হাঁটহাটির কোনো বিকল্প হয় না। একইসঙ্গে দরকার কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ রয়েছে এমন খাবারের সঠিক সমন্বয়।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘুম থেকে ওঠার পর ৫টি কাজ করলে মেদ ঝরার প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
দারচিনি চা
পানিতে দারচিনি ফুটিয়ে ভেষজ চা হিসেবে খান অনেকেই। পুষ্টিবিদদের মতে, দারচিনির চা খুব ভালো ‘ডিটক্স’ পানীয়। অর্থাৎ এই চা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। দারচিনি মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে দারচিনি দেয়া চা খেলে হজমশক্তি বাড়ে।
চিয়া
ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজে পূর্ণ চিয়াবীজ ভিজিয়ে খাওয়াও খুবই ভালো। পুষ্টিবিদদের মতে, টক দইয়ের সঙ্গে ভেজানো চিয়াবীজ খেলে পেটও ভরবে আবার রক্তে শর্করার মাত্রাও বশে থাকবে। চিয়াবীজে খাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কফি
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শেষে এক কাপ কফি খাওয়া যেতে পারে। এতে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা হতাশায় থাকলে এই কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ হয় সবচেয়ে বেশি। এই হরমোন শরীরের নানা রোগের পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধিরও কারণ হতে পারে। কফি এই হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
চিনি এবং শর্করা
চিনি এবং ময়দা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য ভালো নয়। এগুলো ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। খাওয়ার সময় এই জিনিসগুলো এড়িয়ে চলা দরকার।
হাঁটাহাঁটি
ওজন কমানোর জন্য হাঁটাহাঁটি করা ভালো। হালকা রোদে ১০ মিনিটের মতো হাঁটা খুবই উপকারী। মেদ ঝরানোর জন্য তা খুব জরুরি। হাঁটলে মাংসেপশি সবল হয়। হার্টও ভালো থাকে। রোদের সংস্পর্শে ভিটামিন ডি তৈরি হয় ত্বকে।
আমার বার্তা/এল/এমই