ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩২

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু ও দুই শিবিরের প্রতিক্রিয়া

মহসীন হাবিব:
২২ মে ২০২৪, ১৬:৫২

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর দেশটির সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং দেশটির কেবিনেট তাদের বিবৃতিতে দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি বলেছে, এ মৃত্যুর কারণে ইরানের কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। ইরানের নীতিতেও কোনো পরিবর্তন আসবে না। মজার বিষয় হল, ঠিক একই কথা বলেছে ইসরায়েলের একাধিক গুরৃত্বপূর্ণ নেতা। সাবেক অর্থমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী আভিগদোর লিবারম্যান বলেছেন, রাইসির মৃত্যুতে ইরানের কোনো পরিবর্তন আসবে না। রাইসি তথা ইরানের প্রেসিডেন্ট সুপ্রির লিডারের পলিসি বাস্তবায়ন করেন, নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। ইসরায়েলের মিডিয়া এবং অন্যান্য নেতাদেরও একই বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। তবে রাইসির মৃত্যু তথা জীবনাবসান প্রশ্নে দুই পক্ষের প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন। সারা বিশ্ব যে দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে আছে তা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই প্রতিক্রিয়া থেকে। ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলী খোমেইনি গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ইরান তার আন্তরিক ও মূল্যবান সেবক হারিয়েছে। তিনি ছিলেন নিঃস্বার্থ এবং তারমধ্যে কোনো ক্লান্তি ছিল না। জাতির কল্যানের প্রশ্নে ছিলেন ডেডিকেটেড। তিনি তো বলবেনই, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু রাইসির মৃত্যুতে জাতিসংঘের মহাসচিব শোক জানিয়েছেন, পোপ শোক জানিয়েছেন; শোক জানিয়েছে জাপান, মিশর, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, সুদান, সিরিয়া, তুরস্ক, ভেনিজুয়েলাসহ আরো কয়েকটি দেশ। এদের কোনো কোনো দেশ শুধু অফিসিয়াল বক্তব্য দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি, ব্যক্তি রাইসির প্রশংসাও করেছে। কিন্তু ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসরায়েলসহ বেশ কিছু দেশ।

ইহুদি ঐতিহ্য অনুসারে নিয়ম হল, যে কোনো মানুষের মৃত্যুতে শোক জানাতে হবে। সে হোউক ইহুদি অথবা অন্য ধর্মের লোক। কিন্তু ইসরায়েল এবং দেশটির জনগণ তা করেনি। তারা কারণ হিসাবে ব্যখ্যা করেছে, রাইসি শুধু কট্টরপন্থীই নয়, সন্ত্রাসের অন্যতম মদদদাতা। তাকে ইসরায়েল এবং পশ্চিমা ইরান-বিরোধী দেশগুলোতে বলা হয় বুচার অব তেহরান, অর্থাৎ তেহরানের কসাই। ২০২১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর রাইসি হিজাব এবং নারীর কুমারিত্বের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান অবলম্বন করেন। ইরানের ভিন্ন দৃষ্টির নারী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর যে বিক্ষোভ হয় তাতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয় এবং কয়েক শ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় রাইসি বলেন, ‘বিশৃ্খংলা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়’। তিনিই কঠোর হস্তে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমনের আদেশ দিয়েছিলেন। মজার ব্যাপার হল, ইরানে ১০ হাজারের মত ইহুদি নাগরিক রয়েছে। তেহরান জিউস অ্যাসোসিয়েশন রাইসির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বলেছে, ‘তিনি ছিলেন কমপ্যাশনেট এন্ড ডেডিকেটেড। তার মৃত্যু হৃদয় ভাঙা এবং চোখে জল আনার মত।’ অবশ্য ইসরায়েল ও পশ্চিমারা মনে করছে, এই বিবৃতি ইরানের ইহুদিরা দিতে বাধ্য তাদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে।

ইরান-ইসরায়েল একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ইরানের আল-কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেলর কাশেম সোলায়মানিকে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। গত এপ্রিল মাসে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিকে হত্যা করে ইসরায়েল। এই দুটি ঘটনার পরই ইরান প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং জাহেদির হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইরান সরাসরি ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলের উপর। ৩০০ ড্রোন, মিসাইল ও রকেট হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জর্দান মিলে সেই হামলার ৯৯ শতাংশ প্রতিহত করে। তারপরপরই ইসরায়েল ইরানের ইস্ফাহানে হামলা চালায়। সেখানে রয়েছে ইরানের পরমাণু প্ল্যান্ট। যদিও ইরান হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হয়নি বলে জানিয়েছে, কিন্তু প্রকৃত ক্ষতি কতটা হয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।

গত রোববার রাইসসহ হেলকপ্টারে থাকা ৯ জনই নিহত হয়েছেন। তার সফরসঙ্গী ছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান, তাব্রিজের শুক্রবারের প্রার্থনার নেতা আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আল-ই-হাশেম, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্ণর মালেক রাহমাতি। এই দুর্ঘটনা এমন এক সময় ঘটল, যখন ইরান একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার হামাস ও লেবাননের হেজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতিদের যুদ্ধে ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রকাশ্যেই সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ইরান। ফলে অনেকের মনেই একটি সন্দেহ খোঁচা দিয়ে যাচ্ছে: এই দুর্ঘটনা কি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি অন্যকিছু?

লেখক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক ।

আমার বার্তা/মহসীন হাবিব/এমই

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ত্যাগ: বাংলাদেশের জন্য সংকেত এবং ভবিষ্যৎ বিশ্লেষণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)

ফ্যাসিস্ট আমলে মিডিয়া ট্রায়ালে হেনস্থা ও অপরাধী প্রমাণের অপচেষ্টা

একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, অর্থ আত্মসাৎ, মাদক পাচার, যৌতুক দাবি, এসিড নিক্ষেপ বা

প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের জন্য পেনশন ও গ্র্যাচুইটি সময়ের দাবি

দেশের চাকরিজীবীরা নানা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পান—নির্ধারিত বাসাবাড়ি, গাড়ি ও অবসরের পর পেনশন, গ্র্যাচুইটি ইত্যাদি। কিন্তু

ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

ক্ষমতার অপব্যবহার একটি গুরুতর বিষয়, যা ব্যক্তি, সমাজ এবং জাতির জন্য ক্ষতিকর। ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমতা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৬ বছর পর আপিল আবেদনের অনুমতি পেল চ্যানেল ওয়ান

স্রোতের বিপক্ষে শুধু মাঠে আছে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়

সালমান এফ রহমানের ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পেলেন যারা

উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে

গণঅভ্যুত্থানে গঠিত সরকারের ম্যান্ডেট নির্বাচিত দলের চেয়েও বেশি

শ্রমিকদের অযৌক্তিক দাবিতে বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা চালু হচ্ছে না

ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দল ঘোষণা

বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত বৈদ্যুতিক বাইক উন্মোচন করা হলো যুক্তরাষ্ট্রে

বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ চাইছে: নাহিদ ইসলাম

দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

জনগণের আস্থা অর্জনে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন: আইজিপি

নির্বাচনী এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইউএনডিপি

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বেক্সিমকোর অস্তিত্বহীন ১৬ প্রতিষ্ঠানের নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ

ডিজিটাল ওয়ালেটে দেখেন ৬৪ লাখ, কিন্তু তুলতে পারেননি এক টাকাও

রংপুরের জয়যাত্রা থামিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে রইল রাজশাহী

দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি হাল ধরেছে: সেলিমা রহমান

ড. ইউনূসের সঙ্গে মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ