গত ৪ বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) সেই দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়েছেন সাবেক এই তারকা। একই দিন নিয়েছেন বিসিবি নির্বাচনের মনোনয়ন।
ক্যাটাগরি 'এ' অর্থাৎ জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচনের মনোনয়ন কিনেছেন রাজ্জাক। এই ক্যাটাগরিতে ভোটার হওয়ার কথা ছিল ৭১ জন। তবে নরসিংদী জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে কোনো কাউন্সিলর মনোনয়ন না দেয়ায় এই ক্যাটাগরিতে ভোটার এখন ৭০ জন৷ এর আগে খুলনা বিভাগী ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।
দুপুর দুইটা পর্যন্ত মনোনয়ন নিয়েছেন পরিচালক পদের কয়েকজন প্রার্থী। দিনের শুরুতে পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য ফর্ম সংগ্রহ করেছেন ক্যাটাগরি বি থেকে ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট ক্লাবের কাউন্সিলর নাজমুল ইসলাম। পরে মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেন ক্যাটাগরি সি থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলর সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর। একই ক্যাটাগরি থেকে ফর্ম তুলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলর দেবব্রত পাল।
সি ক্যাটাগরি থেকে ফর্ম তুলেছেন সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলটও। এদিকে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে মনোনয়ন ফর্ম তুলেছেন সাবেক ক্রিকেটার জুলফিকার আলি খান। এছাড়া বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের প্রতিনিধির মাধ্যমে ফর্ম তুলেছেন। সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে ফর্ম নিয়েছেন রাহাত শামস।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।
ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন এই ক্যাটাগরিতে থাকা ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। এছাড়া এনএসসি থেকে মনোনীত হবেন দুজন পরিচালক।
শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় বিসিবি নির্বাচনের মনোনয়ন ফর্ম বিতরণ। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ফর্ম বিতরণ। শুরুতে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর দুই দিন মনোনয়ন ফর্ম কেনার সুযোগ থাকলেও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে দেরি হওয়ায় মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহের সময় ধার্য করা হয় ২৭ সেপ্টেম্বর একদিনই।
আমার বার্তা/এমই