মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জলাতঙ্ক রোগ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। কুকুর বা বিড়ালের কামড় ও আচড়ের মাধ্যমে এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)-তে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মাস ডগ ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম, শেল্টার ও রেসকিউ সেন্টার, এনিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাক্ট ২০১৯ এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে হবে। পাশাপাশি কুকুরের প্রতি আমাদের মানসিকতা ও আচরণেও পরিবর্তন এবং এদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, জলাতঙ্কের শেষ পর্যায়ের আগে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু আমরা সাধারণত কুকুর বা বিড়ালের আচড়কে গুরুত্ব দিই না। শুধু কামড় দিলে অথবা আচড়ে ক্ষত সৃষ্টি হলে চিকিৎসার কথা চিন্তা করি। অথচ এসব ক্ষেত্রে দেরি না করে শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন, এসিআই এগ্রি বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ড. ফ হ আনসারী। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন অভয়ারণ্য-বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা রুবাইয়া আহমেদের, পিপল ফর অ্যানিমেল অয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্থপতি রকিবুল হক এমিল, কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আজিজ আল মামুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য,বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে ‘জলাতঙ্ক নির্মূলে কাজ করি সবাই মিলে’ এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্তৃক আজ সকাল ৯.০০ টায় এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।
আমার বার্তা/এমই