নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করায় কাউন্টারের লোকজনের বিরুদ্ধে এক যাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের নতুন বাসস্ট্যান্ডের বসুরহাট এক্সপ্রেস কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার ওই যাত্রীর নাম মো.আলাউদ্দিন (৩০)। তিনি কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নুরসোনাপুর গ্রামের মাঝি বাড়ির সিরাজ মিয়ার ছেলে এবং নোয়াখালী র্কোটের একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী।
ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন অভিযোগ করে জানান, বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি তার বড় ভাই মহিউদ্দিন বাহার (৪৮), ভাবি তমলিমা খাতুন (৩৮), ভাতিজা সাইফুল ইসলাম (২০), ভিতিজি নুসরাত (৩) ও তাজনাহারকে (৬) নিয়ে চট্রগ্রামে যাওয়ার জন্য বসুরহাট একপ্রেস কাউন্টারে যান। বসুরহাট থেকে চট্রগ্রামে নির্ধারিত ভাড়া ২৫০ টাকা। কাউন্টারের লোকজন ঈদুল আযহার বাহানা দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নিচ্ছিল। অতিরিক্ত ভাড়ার প্রতিবাদ করেন আলাউদ্দিন। এ নিয়ে বসুরহাট এক্সপ্রেসের কাউন্টারে থাকা দুজনের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর তারা গালাগাল ও মারধর করে। একপর্যায়ে কাউন্টারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এসে আলাউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
আলাউদ্দিন বলেন, ‘তারা আমাকে মারধর করে ও আমার ভাইয়ের থেকে ৬৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমাদের সঙ্গে থাকা নারী ও শিশুদের হেনেস্থা করে। তাৎক্ষণিক আমরা কোম্পানীগঞ্জ সেনাবহিনীর ক্যাম্পে ও থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করি। সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে গেলে বসুরহাট এক্সপ্রেসের লোকজন সেখানেও আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে তারা বের হলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে বসুরহাট এক্সপ্রেস বাসের এমডি মাজহারুল হক তৌহিদ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে কোনো যাত্রীর ওপর হামলা হয়নি। তবে, সামনের সিট নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। এতে কাউন্টারের দুজন ব্যক্তিও আহত হয়। এখন বসুরহাট থেকে ৩০০টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কারণ, চট্রগ্রাম থেকে পুরো বাস খালি আসে।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ‘যাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী যাত্রী থানায় এসে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।’
আমার বার্তা/এল/এমই