জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আলোচনায় এসেছেন তাজিকিস্তানের শিল্পী মেহেরনিগরি রুস্তম। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের ষষ্ঠ গান ‘মহা জাদু’-এর মধ্য দিয়ে হাবিবভক্ত সংগীতপ্রেমীরা প্রথমবারের মতো পেলেন এ তাজিক শিল্পীকে।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইউটিউব চ্যানেলে গানটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছে। বাউল শাহ খোয়াজ মিয়ার লেখা ও সুরে তৈরি এ লোকগানটির নতুন সংগীতায়োজন করেছেন হাবিব ওয়াহিদ। আর এ গানে তাজিকিস্তানের সংগীতশিল্পী মেহেরনিগরির যুক্ত হওয়া যেন ছিল সংগীতপ্রেমীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।
সামাজিক মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে গানটি ছড়িয়ে পড়ার পর দেশি-বিদেশি শিল্পীর এই যৌথ কাজ বাংলা সংগীতে নতুনমাত্রা যোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন সংগীতপ্রেমীরা। গায়ক হাবিবের পাশাপাশি গায়িকা মেহেরনিগরির পারফরম্যান্সেরও বেশ প্রশংসা করেন তারা। এরপর থেকেই সেই শিল্পীকে নিয়ে সর্বত্র আলোচনা।
উল্লেখ্য, মেহেরনিগরি রুস্তম ১৯৯৪ সালের ১৪ অক্টোবর তাজিকিস্তানের খোভালিং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই সংগীতময় পরিবেশে বেড়ে ওঠা এ শিল্পী মাত্র ৫ বছর বয়সেই গান গাওয়া শুরু করেন। পড়াশোনাতেও সমান মনোযোগী মেহেরনিগরি। ২০১১ সালে দুশানবে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে স্নাতক শেষ করেন। পরে তিনি তাজিক ন্যাশনাল কনজারভেটরির (বর্তমানে তালাবহুজা সাত্তোরভ নামে পরিচিত) একাডেমিক অনুষদে উচ্চশিক্ষা নেন। তার ভাই সাফারমুহাম্মদ রুস্তমও একজন গায়ক।
মেহেরনিগরি রুস্তম ২০০১ সালে ‘বাডস অব হোপ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম বড় মঞ্চে গান গেয়েছিলেন। দুই বছর পর ‘সানশাইন’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জিতে নেন গ্র্যান্ড প্রাইজ। ২০০৬ সালে সিআইএস দেশগুলোর তরুণদের নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক আসরে জিতেছিলেন দুটি স্বর্ণপদক।
মেহেরনিগরি রুস্তম প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন একাধিক জনপ্রিয় গান, যার মধ্যে রয়েছে— ‘জাদুগার’, ‘নিগিন আনোর’, ‘গুল’, ‘আনার আনার’, ‘দিলি জোর’ উল্লেখযোগ্য। সংগীতের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক অনুসারী রয়েছে তার; ইনস্টাগ্রামে যার সংখ্যা দেড় মিলিওনের বেশি।
আমার বার্তা/এমই