পুলিশ সদস্যদের কর্মপরিবেশ ও বাসস্থান উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রমনায় পুরাতন রমনা থানা কমপ্লেক্স ভবন চত্বরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পাঁচটি (আদাবর, কদমতলী, ভাসানটেক, রমনা ও রামপুরা) থানা ভবনের ভিত্তিফলক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ডিএমপির আওতাধীন মোট ৫০টি থানা রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি থানা নিজস্ব ভবনে এবং বাকি ২৫টি থানা ভাড়া বাসায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভাড়া ভবনে স্থাপিত থানাগুলোর কর্মপরিবেশ, বিশেষ করে বাসস্থান নিম্নমানের এবং সংকীর্ণ জায়গায় অবস্থিত। তাই এসব থানা দ্রুত নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই প্রয়াস।
তিনি বলেন, আমরা খুব শিগগিরই আরও তিনটি থানার (শাহবাগ, মুগদা ও ভাটারা) নিজস্ব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবো বলে আশা করছি। ডিএমপির ৫০টি থানার কর্মপরিবেশ ও বাসস্থান উন্নয়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
একটি বিশেষ মহল খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা চলছে। একটি ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর দোসর সে মহল চাচ্ছে এ উৎসবটি যেন ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত না হয়। তবে তাদের এই চক্রান্ত কখনো সফল হবে না। উৎসবমুখর পরিবেশেই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রিফিংয়ে আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম, ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপরোল্লিখিত থানা ভবনসমূহ নির্মিত হচ্ছে। ১,৬২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০৭টি জরাজীর্ণ থানা ভবনের পরিবর্তে নতুন ভবন নির্মাণ করে অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত। বাস্তবায়নকারী সংস্থা, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পুলিশ।
আমার বার্তা/এমই