প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ঢাকের তাল আর শঙ্খধ্বনির সঙ্গে দুর্গোৎসব পালন করছেন সারাবিশ্বের সনাতনীরা। দুষ্টের দমন ও সৃষ্টির পালনের উদ্দেশ্যে দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আবির্ভূত হন। তাঁর এই আগমন উদযাপনে ব্যস্ততায় কাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের দিন। উৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে ঢালিউড অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তীকে। কাজের ব্যস্ততায় এবার গ্রামের বাড়িতে যেতে পারছেন না তিনি।
মন্দিরা বলেন, ‘এবার পূজা ঢাকাতেই করছি। পূজা সব সময় খুলনাতে গ্রামের বাড়িতে করা হয়। কিন্তু এবার কাজের চাপে যাওয়া হচ্ছে না। অন্যান্যবার দশদিন খুলনায় থাকা হয়। এবার পূজাকে কেন্দ্র করে সেরকম কোনো পরিকল্পনা নেই। পরিবারকে সময় দেব, বন্ধুদের সঙ্গে পূজার প্যান্ডেলে ঘুরব, আড্ডা দেব।’
মন্দিরার একরত্তি বয়সের পূজার সঙ্গে মিশে আছে নানা স্মৃতি। বাবা-মায়ের হাত ধরে বিভিন্ন মন্দিরে ঘুরে বেড়াতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শৈশবের পূজা আসলে অনেক সুন্দর ছিল। তখন মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটানো হতো। মা-বাবা যেখানে নিয়ে যেতেন সেখানেই যেতাম। মা-বাবা পছন্দ করে জামা, জুতা কিনে দিতেন। সেটা পেয়ে ভীষণ খুশি হতাম।
বড় হয়ে পূজার সময় মা-বাবাকেও সময় দেই, সাথে বন্ধু বান্ধব যুক্ত হয়েছে। এছাড়া নিজের একটা জীবন আছে। সেটাও মেইনটেইন করতে হয়। মা-বাবা এখন আর ছোটবেলার মতো কেনাকাটা করে দেন না। এখন নিজে সবাইকে পূজার উপহার দেই।’
তিনি যোগ করেন, ‘পূজা নিয় তেমন স্মরণীয় কোনো ঘটনা নেই। আমাদের গ্রামের বাড়িতে দুর্গাপূজা হয়। প্রতিবছর আমি ভীষণ উৎসাহী থাকতাম যখন দুর্গা প্রতিমা করা হতো। ওই সময় আমার মা, প্রতিমাকে গয়না পরাতেন। শাড়ি পরিয়ে দিতেন। সে কাজে আমার মাকে সাহায্য করতাম। ওই ব্যাপারটা আমার খুব আনন্দ লাগত। অপেক্ষায় থাকতাম কখন আবার ওই সময়টা ফিরে আসবে। কখন প্রতিমা সাজানো হবে। আমিও পূজার কাজে সাহায্য করব, দেখব আর শাড়ি-গয়না পরাব। ওই মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দর ছিল। এবার যেহেতু আমি গ্রামে যেতে পারছি না তাই খুবই মিস করছি।’
সবশেষে ব্যস্ততার ফিরিস্তি দিয়ে এ তারকা বলেন, ‘সিনেমা নিয়েই বর্তমান ব্যস্ততা। এই বছর নতুন কোনো ছবি মুক্তি পাবে না। তবে চলতি বছরে একটা ছবির শুটিং শুরু হবে। এছাড়া ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির পর একটা ছবির শুটিং আছে।’
আমার বার্তা/এমই