ভারতে আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে এবারের আসর অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে অংশ নিচ্ছে মোট আটটি দল। দলগুলো হচ্ছে- আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়বারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। কলম্বোয় আগামী বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। প্রথম রাউন্ডে মোট সাত ম্যাচ খেলবে টাইগ্রেসরা। ২০২২ সালে অভিষেক আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
এবার গ্রুপ পর্বের ৭ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতুক বা হারুক, আর্থিকভাবে ঠিকই লাভবান হবে। শুধুমাত্র টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্যই বাংলাদেশ নারী দল নিশ্চিতভাবে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা পাচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি জয়ের জন্য টাইগ্রেসরা আরও ৪১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা করে পাবে। এই অর্থ দেবে আইসিসি।
আইসিসি জানিয়েছে, এবারের আসরের মোট প্রাইজমানি ১৬৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা নারী ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে শিরোপাজয়ী দল পাবে ৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালের ফিফা নারী বিশ্বকাপজয়ী স্পেনের চেয়েও বেশি। সবক্ষেত্রেই বেড়েছে প্রাইজমানির পরিমাণ।
২০২২ সালের তুলনায় এবারের আসরে প্রাইজমানি বেড়েছে ২৯৭ শতাংশ। এমনকি এই অর্থ ছেলেদের সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের (২০২৩) প্রাইজমানির চেয়েও বেশি। আইসিসির আশা, এবারের বিশ্বকাপ নারী ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ কতদূর এগোতে পারবে, সেটা দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটভক্তরা।