সম্প্রতি এক নারী গুলশান থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে ছিলেন বিদিশা এরশাদের বিরুদ্বে। কিন্তু

কিন্তু গুলশান থানা এমন অভিযোগ নেয়নি। গুলশান থানা কেন অভিযোগ নেয়নি এর কারণ প্রসঙ্গে বিদিশা এরশান বলেছেন, কূটনৈতিক জোনে এমন মারাত্মক অভিযোগ!আসলে এবার গল্পটা ভালো করে বুনতে পারেনি। আরও সুন্দর করে লিখতে পারতো। এ কারণেই মনে হয় গুলশান থানাকে কনভিন্স করতে পারেনি। কারণ ন্যূনতম প্রমাণ লাগে তো।

সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টাল এর মুখোমুখি হয়েছিলেন বিদিশা এরশাদ। তিনি সাংবাদিকের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

সেখানে তিনি বলেন, আমাকে ‘যত বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে তত আমার মঙ্গল হয়েছে’

এসময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পিছনের কারণ প্রসঙ্গে তিনি ইঙ্গিত করে বলেন, আমি এরিক এরশাদের বাসায় এখন অবস্থান করছি। এটি একটি ট্রাস্টের সম্পদ। ট্রাস্টের আগের যে চেয়ারম্যান তাকে এরিক বরখাস্ত করেছে। কিন্তু তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এরিককে বাসাটি বুঝিয়ে দেননি। বুঝিয়ে দিতেও চাইছেন না। প্রকাশ্যে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজে-বাজে কথা বলেছেন। এরিক একজন স্পেশাল চাইল্ড। তাকে নিয়েও উল্টা-পাল্টা বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা কথা বলিয়েছেন।

এ বাসায় কাজের লোক, ড্রাইভার থাকতে পারে না। তাদের মনিটরিং করা হয়। তাদের নেশাই হচ্ছে কীভাবে আমাকে বিতাড়িত করবে, মানসম্মান ক্ষুণ্ন করবে।

এরিকের পেটে লাথি মারা হচ্ছে জানিয়ে বিদিশা বলেন, বাতিল হওয়া চেয়ারম্যান কর্তৃত্বটা ঠিক দিতে চাইছেন না। আমরা তাদের বুঝিয়েছি। এরিক যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই ফাইনাল। এরপরেও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে এরিককে বুঝিয়ে দেওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। এটি তারা দিতে চাইছে না। ব্যাংক হিসাব বন্ধ। এরিক ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছে না প্রায় দশ মাস হয়ে গেছে।

বিদিশা এরশাদ বলেন, রিমান্ডে নিয়ে আমার নখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল। এরপরেও আমি কোনো মিথ্যা জবানবন্দি দেইনি। এখন তারা আর কী করতে পারবে? এরিকের সম্পত্তির জন্য এত লোভ! আমাকে নিয়ে তাদের এত ভয়! তারা বোঝে না যে আমার ব্যাকআপ প্ল্যাটফর্ম আছে। আমার পার্টি থেকে পাঁচজন চলে যাচ্ছে বলেই সব শেষ হয়ে গেলো না।

এর পরেই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন কী ব্যাকআপ প্ল্যাটফর্ম আছে আপনার?

বিদিশা বলেন প্রত্যেকেরই নিজস্ব শক্তি আছে। এটিই চালিকাশক্তি। আমার ব্যাকআপ কী, তা সবাইকে জানাই না। কারণ তারা আবার সেখানে গিয়ে ডিস্টার্ব করবে।

এবি/টিএ