ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। শুক্রবার (৬ জুন) ভোর থেকেই সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনাল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।
বরিশাল, খুলনা, বেনাপোল, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও রাজবাড়ী জেলাসমূহের মানুষ ঘরে ফিরছেন যে যার মতো করে।
বাস কাউন্টার এবং অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের চেয়ে ঈদের আগের দিন আজ বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় বেশি।
এদিকে, টিকিট সংকট না থাকলেও প্রায় প্রতিটি রুটেই বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। দাঁড়িয়ে গেলে ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ২০০ টাকা আর সাতক্ষীরা, যশোর, বরিশাল ও খুলনায় দাঁড়িয়ে গেলে ৭০০ টাকা ভাড়া।
শুক্রবার (৬ জুন) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও জনপথের মোড়ে আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের ভিড়। প্রায় প্রতিটি কাউন্টারেই টিকিট নিয়ে চলছে দরদাম। দর কষাকষির মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে টিকিট।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ঈদ এলেই ভাড়া বেড়ে যায়। দু-একটি পরিবহন ছাড়া কোথাও টিকিটের সংকট নেই। তবুও কিছু পরিবহন মূল ভাড়ার চেয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশিতে টিকিট বিক্রি করছে। বেশিরভাগ পরিবহন দ্বিগুণের বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছে। একসঙ্গে তিন-চারজন গেলে দামাদামি করে কিছু টাকা কম নিচ্ছে।
বরিশাল রুটে চলাচল করে মিজান পরিবহন। এ রুটের পটুয়াখালীতে অন্য মৌসুমে ভাড়া ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। তবে ঈদ আসায় গত বৃহস্পতিবার থেকে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় টিকিট কিনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। বরিশালের সাকুরা পরিবহনে ১২০০ টাকা ভাড়ায় ডাকছেন যাত্রীদের। কাছের যাত্রার মধ্যে মাওয়া রোডে পাঁচ্চর,ভাঙ্গা, ফরিদপুর, মাদারীপুর রাজবাড়ী ও শরীয়তপুরে ৫০০ টাকা মাথাপিছু ভাড়া নিচ্ছে। এছাড়া ওই রোডে পরিবহন ট্রান্স সিলভা, রাইদা ও গাবতলী মেড়িবাস সার্ভিস দিচ্ছে। শরীয়তপুর এবং ভাঙ্গা ফরিদপুর পর্যন্ত ৫০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে জনপ্রতি।
এ রোডের যাত্রীরা বলেন, পরিবার নিয়ে বাড়ি যাবো। দরদাম করে টিকিট কিনতে হচ্ছে। যে-যেভাবে দরদাম করতে পারে। কেউ ৫০-১০০ টাকা বেশি।
একই অবস্থা গ্রিন সেন্টমার্টিন পরিবহনে, বরিশালে যাত্রীপ্রতি ভাড়া নিচ্ছে ৯০০ টাকা করে।
আমার বার্তা/এল/এমই