সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে দুটি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন। নামাজ শেষে তারা কয়েকটি গরু এবং ছাগল কোরবানি দেন।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া মাদরাসা মাঠে একই সময় খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর সুমনের আঙ্গিনায় জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয়।
আয়ড়া মাদরাসা মাঠে জামাতের ইমামতি করেন পারভেজ এবং খয়ের বাড়িতে দোলোয়ার হোসেন ইমামতি করেন।
উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার আশপাশের গ্রাম থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেলে করে এসে নামাজ আদায় করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
খয়ের বাড়ি জামাতের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘণ্টা। এই ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই নামাজ আদায় করা।
ঈমাম দেলোয়র হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, জোতবানি এবং বিনাইল-এই দুটি ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুটি জামায়াতের দুই শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।
আমার বার্তা/এল/এমই