যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে সাম্প্রতিক ফোনালাপে টিকটক চুক্তি নিয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। দুই শীর্ষ নেতা আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বৈঠক করবেন বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এটি ছিল তিন মাস পর দুই নেতার প্রথম ফোনালাপ। প্রায় দুই ঘণ্টার এই আলাপচারিতায় টিকটক ইস্যু ছাড়াও বাণিজ্য, ফেন্টানিল সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, শি জিনপিং প্রাথমিকভাবে টিকটক চুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সরাসরি চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
মার্কিন কংগ্রেস আগেই আইন পাস করেছে, আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রি না হলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ট্রাম্প-শি ফোনালাপকে সংকট সমাধানের বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দুই নেতা আগামী অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজুতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে মুখোমুখি বৈঠক করবেন। এছাড়া ট্রাম্প আগামী বছর চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন এবং পরে শি যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, টিকটকের মার্কিন সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যদিও অ্যালগরিদম ব্যবহারে এখনও বাইড্যান্সের ভূমিকা থাকবে। এ বিষয়টি নিয়েই সবচেয়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মার্কিন আইনপ্রণেতারা আশঙ্কা করছেন, এর মাধ্যমে চীন মার্কিন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি চালাতে পারে।
অন্যদিকে বাইড্যান্স এক বিবৃতিতে ট্রাম্প ও শিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, তারা মার্কিন ব্যবহারকারীদের সেবা অব্যাহত রাখতে চায় এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো মেনে চলবে।
টিকটক ইস্যু ছাড়াও ট্রাম্প ও শির আলোচনায় বাণিজ্য শুল্ক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ফেন্টানিল ইস্যু উঠে আসে। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকেই চীনের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন। এতে উভয় দেশের শুল্কহার শতকরা তিন অঙ্ক ছাড়িয়েছে।
তবে তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে দুই দেশের অবস্থান স্পষ্ট হয়নি। ওয়াশিংটন বরাবরের মতো চীনের সমালোচনা করলেও সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ