ঢাকা শহরের গণপরিবহনে স্বস্তির পরশ এনে দেওয়া মেট্রোরেলে যাত্রীদের ভিড় দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ মানুষ মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন। বিশেষ দিনগুলোতে এই সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। ক্রমবর্ধমান এই চাপ সামাল দিতে শিগগিরই এমআরটি লাইন-৬ এ আরও ১০ ট্রিপ ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। নতুন সূচি অনুযায়ী রাত ১০টার পরও ট্রেন চলাচল করবে।
ডিএমটিসিএলের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ‘সুইপিং ট্রেন’ দিয়েই দিনের যাত্রা শুরু হবে। এতে শুধুমাত্র এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাসধারী যাত্রীরা উঠতে পারবেন। এরপর সকাল ৭টা থেকে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হবে। বর্তমানে প্রথম ট্রেন উত্তরা থেকে ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে, আর মতিঝিল থেকে ছাড়ে সকাল সাড়ে ৭টায়।
রাতের শেষ ট্রেনও বাড়ানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত উত্তরা থেকে শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টায় এবং মতিঝিল থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। নতুন সূচি অনুযায়ী উত্তরা থেকে রাত ৯টা ১০, ৯টা ২০ ও ৯টা ৩০ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে। মতিঝিল থেকে ছাড়বে রাত ৯টা ৫০, ১০টা ও ১০টা ১০ মিনিটে।
মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে বর্তমানে ৬টি কোচ রয়েছে। স্টেশনে আরও দুটি কোচ দাঁড়ানোর জায়গা থাকলেও প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি) এখনো স্থাপন হয়নি। পাশাপাশি অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ফলে আপাতত কোচ সংখ্যা না বাড়িয়ে ট্রেন ট্রিপ বাড়ানো হচ্ছে।
বর্তমানে প্রতিটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ যাত্রী একসঙ্গে ভ্রমণ করতে পারেন। নতুন ১০ ট্রিপ চালু হলে আরও প্রায় ২৩ হাজার যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াতের সুযোগ পাবেন।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ট্রিপ বাড়ালে খরচও বাড়বে। তাই দীর্ঘমেয়াদে যাত্রী চাহিদা মেটাতে কোচ সংখ্যা বাড়ানোই বেশি কার্যকর হবে। তবে স্বল্পমেয়াদে ট্রিপ বাড়ানো যাত্রী ভোগান্তি কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তারা।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, নতুন ট্রিপ চালাতে অতিরিক্ত লোকবল প্রয়োজন হবে। সে জন্য ইতিমধ্যেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই নতুন ট্রেন চালু হবে।
এর ফলে রাজধানীবাসী মেট্রোরেল সেবায় আরও বেশি সময় ধরে যাতায়াতের সুযোগ পাবেন এবং রাত ১০টার পরও মেট্রোরেল ব্যবহারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
আমার বার্তা/জেএইচ