রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই বৈঠক হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাহস নিয়ে মন্তব্য করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব। তিনি বলেছেন, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার সাহস পুতিনের আছে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে ব্যস্ত দিন পার করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব। তিনি বলেন, আজকের বৈঠক “আংশিকভাবে সফল” হলেও ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে “কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি”।
স্টাব জানান, জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প, তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে “বিশ্বাস করা যায় না”। তিনি বলেন, “পুতিনের আসলেই এমন বৈঠকে আসার সাহস আছে কিনা, সেটাই দেখা যাবে।”
স্টাব আরও জানান, লক্ষ্য হলো ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে বিস্তারিত চূড়ান্ত হতে পারে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। অবশ্য বৈঠকটি কোথায় হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট সোমবার বলেন, “ভাইস-প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত উইটকফ মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে সমন্বয় করছেন”। তিনি আরও বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে সবাই খুবই আশাবাদী।”
তিনি জানান, পুতিন ও জেলেনস্কির প্রত্যাশিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে, যেখানে তিনি নিজেও দুই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসবেন।
অন্যদিকে পুতিন এবং জেলেনস্কির মধ্যে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক হবে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ। এমনকি পুতিন এই বৈঠকে সম্মত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আমার বার্তা/জেএইচ