সম্প্রতি টাকার বিনিময়ে "কিল হিম" সিনেমার বিপক্ষে ব্লগ করায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঢালাওভাবে নিউজ হয় টিকটক মডেল শাকিলা পারভিনের নামে।
এরপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। পরবর্তীতে ফেসবুক ওয়ালে সকল সাংবাদিকদেরকে হলুদ সাংবাদিক আখ্যায়িত করে একটি পোস্ট দিতে দেখা যায় তাকে। এমনকি এ নিয়ে আরেকটি ব্লগ ভিডিও করে সেখানেও সাংবাদিক গালাগাল করতে দেখা যায় তাকে। বিষয়টি নিয়ে তার ছবির পরিচালক জসীম উদ্দিন জাকির মিমাংসা করতে জানালে সেই ছবি প্রযোজক ও পরিচালককে গালাগালির কথাও শোনা যায়।
এছাড়াও সাংবাদিক আকাশ নিবিরকে ইঙ্গিত করে হলুদ সাংবাদিক ও রিকশা চালক বলেও মানহানিকর কথাবার্তা লিখতে দেখা গেছে তাকে। এদিকে সকল ভুলের অনুতপ্ত না স্বীকার করে উল্টো প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে গতকাল ৪ মে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় কাফরুল থানায় সাংবাদিক আকাশ নিবির ও সাংবাদিক আশরাফুল আলম আসিফের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার পর পাল্টা আকাশ নিবিরও হাতিরঝিল থানা উক্ত টিকটক মডেল শাকিলা পারভিনকে বাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার অভিযোগ নাম্বার - ২১৩।
এ প্রসঙ্গে হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশীদ এর কথা সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সাংবাদিক আকাশ নিবির থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সঠিক তথ্য প্রমাণ থাকলে সবারই অভিযোগ করার রাইট আছে। সেই ভিত্তিতে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে হাতিরঝিল থানায় আকাশ নিবির লিখেন, গত ৩ মে রাত আনুমানিক রাত ২১.০০ ঘটিকায় আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি শাকিলা পারভিন নামক একটি ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে আমাকে ইঙ্গিত দিয়ে মানহানিকর হলুদ সাংবাদিক আখ্যায়িত করিয়া রিকশা চালকের সাথে তুলনা করা হয়। ইহাতে আমি সামাজিকভাবে অপদস্ত হেয় প্রতিপন্ন হইয়াছি। ওক্ত শাকিলা পারভিন দ্বারা যে কোন সময়ে ক্ষতির আশংকা করিতেছি। এছাড়াও সকল মহলকে হলুদ সাংবাদিক আখ্যায়িত করিয়া একটি ভিডিও বার্তা প্রেরণ করে। যাহা তাহার ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে বিদ্যামান। বিবাদীর নাম্বার - ০১৬২৫০৭৭২৬২।
উল্লেখ্য টিকটক থেকে উঠে আসা উঠতি মডেল এবং ইতিমধ্যে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া লাখ টাকা ফ্লাটে থাকার আর ৫০ লাখ টাকার গাড়ীতে চলাফেরায় সবাইকে অবাক করেছেন। এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা যায় শাকিলা পারভিনের নামে এক সৌদি প্রবাসির থেকে ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠে এসেছে। এর সাথে জড়িত রয়েছেন একজন মেকআপম্যানও।