একটি মঞ্চ, একটি মাইক, আর সেই সঙ্গে একটি কিশোরের কণ্ঠে বাউল সুর। শ্রোতারা থমকে যান, হাততালি থেমে যায় গভীর শ্রবণে। গান যেন তাদের হৃদয়ে ঢেউ তোলে-সেই মঞ্চে যিনি গান করছিলেন, তিনি আজকের জনপ্রিয় বাউলশিল্পী মিজানুর রহমান। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই গানের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল তার। স্কুল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিয়মিত পুরস্কার পেতেন, আর শিক্ষকেরা তার জন্য দোয়া করতেন যেন একদিন সারা দেশে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে।
তার সংগীতের যাত্রা গভীর হয় যখন তিনি তালিম নেন বিখ্যাত বাউল গুরু হেলাল উদ্দিন সরকার-এর কাছ থেকে। সেই থেকে শুরু হয় তার গানের উড়াল, যা পরে রূপ নেয় ছন্দের বিস্ময়ে।
মিজানুর রহমান, জন্ম ১০ই নভেম্বর ১৯৮৮, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জালাল নগর গ্রামে। তার পিতা- আসাদুর আলী এবং মাতা- রেজিয়া বেগম। ছোটবেলায় তার গানের যে শুরুর ধারা ছিল, তা-ই পরবর্তীতে হয়ে ওঠে বাউল জগতের এক উজ্জ্বল সুরধারা।
তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান ও অ্যালবাম, যেগুলো শ্রোতার হৃদয়ে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে। তার জনপ্রিয় অ্যালবামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য : প্রাণে বাউল, মন যে আমার উড়াল পাখি, কালিয়া রে, অন্তরে কি জ্বালা, দয়াল আল্লাজী, যা দিয়েছো তুমি আমায়।
প্রতিটি অ্যালবামই বাজারে সুমান অর্জন করেছে এবং শ্রোতাদের মনি কোঠায় জায়গা করে নিয়েছে। তার গানে যেমন প্রেম, তেমনি আছে আত্মা ছুঁয়ে যাওয়ার শক্তি।
আমার বার্তা/এমই