বাংলার মাঠে-ঘাটে যখন কেউ গান ধরতেন, মানুষ আপনাআপনি জড়ো হয়ে যেত-ঠিক তেমনই একজন শিল্পীর নাম মো. নূর হোসেন। ছোটবেলা থেকেই যার কণ্ঠে ছিল অপূর্ব এক মাধুর্য, যা সহজেই মন ছুঁয়ে যেত সাধারণ মানুষের।
গ্রামের মঞ্চ, শহরের অনুষ্ঠান, মাহফিল কিংবা লোকজ উৎসব-সব জায়গায়ই ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম। আর তার গান শুনেই একদিন বাউল সম্রাট পাগল মনির তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে ডেকে নেন। নূর হোসেন গিয়ে সালাম ও কদমবুচি করেন। তখনই পাগল মনির তার হাতে তুলে দেন একটি একতারা-প্রতীকী সেই উপহার যেন তার বাউলজীবনের শুরু চিহ্নিত করে দেয়।
তার প্রতিভার স্বীকৃতি শুধু মানুষের ভালোবাসায় সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি ২০১০-২০১১ সালে “জার্নলিস্ট ফোরাম” থেকে শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। তার জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়মন্ড সিটি কোম্পানি তার একাধিক অ্যালবাম বাজারে প্রকাশ করে এবং বেশ কয়েকটি অ্যালবাম হয় ব্যাপক জনপ্রিয়।
তার গাওয়া গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয়ের গভীরে ছাপ ফেলেছে। তার বিখ্যাত কিছু অ্যালবাম হলো : বন্ধুর বাড়ি, নিঠুরিয়া বন্ধু, সুজন বন্ধুরে, কালিয়া, গভীর নিশি পোহাইলো। এছাড়াও আরো বহু অ্যালবাম দেশ-বিদেশে বাজারজাত হয় এবং ইউটিউবে রয়েছে তার অসংখ্য জনপ্রিয় গান।
মো. নূর হোসেন, জন্মগ্রহণ করেন ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ সালে, ঢাকার খিলখেত থানার বরুয়া গ্রামে। তার পিতা- মো. মোনতাজ উদ্দিন, মাতা- মরিয়ম বেগম। শৈশব থেকেই গান ছিল তার নেশা ও ধ্যান। আর সেই নেশাই একদিন তাকে করে তোলে একজন বিখ্যাত বাউল শিল্পী।
আমার বার্তা/এমই