
পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের মরদেহ নিজ গ্রামে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে পৌঁছায় মরদেহটি।
এর আগে, গভীর নলকূপের ৪০ ফুট মাটি খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে শিশু সাজিদকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
শিশুটির মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাজিদের বাড়িতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ—সবাই ছোট্ট শিশুটির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং কেউ কেউ এসে সাজিদের পরিবারকে সান্তনা দিচ্ছেন। এ ছাড়া, পরিবারটির কান্না আর আক্ষেপে বাতাস যেন ভারী হয়ে গেছে।
তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের হামিদুর রহমান বলেন, গভীর নলকূপে পড়ে সাজিদ নামে একজন শিশু মারা গেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। শিশুটিকে শেষবারের মতো দেখতে এসেছি। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত নসিব করুক।
সাজিদের ফুফা আমিনুল ইসলাম বলেন, সাজিদ খুবই মায়াবী বাচ্চা ছিল। তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। আল্লাহ যেন তার পরিবারকে ধৈর্য দেন।
সাজিদের ফুফু তানিয়া বলেন, সাজিদ খুব মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতো। সব সময় আমাকে বাড়িতে আসতে বলতো এবং আসলে সব সময় আমার কাছেই থাকতো। আমার ছেলে ও তার বয়স একই। আমি তাকে ছেলের মতো ভালোবাসতাম।
কলমা ইউনিয়নের আজিজপুর এলাকার বাসিন্দা আদুরী বেগম বলেন, শিশুটিকে শেষবারের মতো দেখতে এসেছি। আল্লাহ তার পরিবারকে শোক সহ্য করার তৌফিক দান করুন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাড়ির পাশের মাঠে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদ গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৪০ ফুট মাটি খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আমার বার্তা/জেএইচ

