
নিউ চন্ডিগড়ের মুল্যানপুরে পুরুষ ক্রিকেটের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল (বৃহস্পতিবার)। যেখানে ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের আরও বাকি ৩ ম্যাচ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হারের দিনে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার একাধিক বিব্রতকর কীর্তি গড়লেন দুই পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ ও আর্শদীপ সিং।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই লক্ষ্য তাড়ায় সূর্যকুমার যাদবের দল ১৬২ রানেই গুটিয়ে গেছে। টি-টোয়েন্টিতে যা ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের (সর্বোচ্চ ৮০ রানে হার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে) ব্যবধানে হার। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৩তম ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়ল এইডেন মার্করামের দল। ম্যাচটিতে ভারতের প্রধান দুই পেসারই উইকেটশূন্য থেকে বেশ রান খরচ করেছেন। বুমরাহ-আর্শদীপ দুজনই খেলেছেন এমন ১৪ ম্যাচ পর হারল ভারত।
৮২তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে প্রথমবার কোনো ম্যাচে চারটি ছক্কা হজম করেছেন বুমরাহ। এর আগে ২০১৬ এবং ২০২২ সালে দুটি ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩ ছয় হজমের অভিজ্ঞতা ছিল তার। ডানহাতি এই তারকা পেসার ৪ ওভারে ১১.২৫ গড়ে দিয়েছেন ৪৫ রান। বিনিময়ে কোনো উইকেট পাননি। এর আগের ম্যাচে তিনি বিশ্বের পঞ্চম বোলার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই আলাদা করে ন্যূনতম ১০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে নাম লেখান। ম্যাচটিতে ৩ ওভারে ১৭ রান খরচায় নেন ২ উইকেট।
এদিকে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বুমরাহ’র চেয়েও খরুচে ছিলেন আর্শদীপ সিং। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান দিয়ে তিনি কোনো উইকেট পাননি। এ ছাড়া বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছেন ১৩ ডেলিভারির পর ওভার সম্পন্ন করে। টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৩ ডেলিভারিতে ওভার সম্পন্ন করার ওই লজ্জার কীর্তিতে নাম তুললেন আর্শদীপ। এর আগে এই রেকর্ডটি একমাত্র আফগানিস্তানের পেসার নাভিন-উল-হকের দখলে ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আর্শদীপের করা ১১তম ওভারে ৭টি ওয়াইড হয়েছে। পুরো ম্যাচে তিনি ওয়াইড দিয়েছেন ৯টি।
ম্যাচটিতে প্রোটিয়াদের বড় রানের পুঁজি গড়ার পথে ৪৬ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ৯০ রান করেন কুইন্টন ডি কক। যা ভারতের মাটিতে বিদেশি কোনো ব্যাটারের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি। সমান ফিফটিতে নিকোলাস পুরান ও জস বাটলারও যৌথভাবে ওই কীর্তি গড়েন। এ ছাড়া ডি ককের করা ৯০ রান ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। তাদের সঙ্গে ডেভিড মিলার ও রাইলি রুশোর সেঞ্চুরি রয়েছে।
ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫টি ছয় হাঁকিয়েছে। আগের সর্বোচ্চ ১৬টি ছয় দেখা গেছে ২০২২ সালে। ভারতীয় বোলাররা এদিন সবমিলিয়ে ১৬টি ওয়াইড দিয়েছে। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সমান ১৬ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ ওয়াইড দেওয়ার নজির আছে ভারতীয়দের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ ছক্কা মারার কীর্তি গড়লেন তিলক ভার্মা। এই ম্যাচে তিনি ৩৪ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৬২ রান করেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৫০টি ছক্কা হাঁকানোর কীর্তি গড়লেন অভিষেক শর্মা। এর আগে ২০২২ সালে সূর্যকুমার ৬৮ ছয় মেরেছিলেন।
আমার বার্তা/জেএইচ

