যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শারীরিক, মানসিক অত্যাচারের মামলায় অনলাইনভিত্তিক ‘বাংলাদেশ অনলাইন মাদরাসা’র পরিচালক রিয়াদ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের চান্দগাঁও এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার কওে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
রিয়াদ সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানার রহমতপুর বিরামপুর এলাকার আবু বকর মিয়ার ছেলে। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার খাজা রোড বলিরহাট পাক্কা দোকান এলাকায় বসবাস করেন।
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে স্বামী রিয়াদ হাসানকে শুক্রবার সন্ধ্যায় চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর স্ত্রীর সঙ্গে আসামি রিয়াদ হাসানের বিয়ে হয়। দেনমোহর ধার্য করা হয় ২০ লাখ টাকা। যার মধ্যে ৩ লাখ টাকা নগদে প্রদান করেন। ১৭ লাখ টাকা বকেয়া। দুই বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের কোনো সন্তান হয়নি। আসামি নিয়মিত যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। অনলাইনভিত্তিক ‘বাংলাদেশ অনলাইন মাদরাসা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুবাদে তিনি বিভিন্ন নারীর সঙ্গে প্রেমে জড়ান।
পরবর্তীতে আসামির মোবাইল ফোনে একাধিক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর চ্যাট, ছবি ও ভিডিও দেখতে পান স্ত্রী। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করায় আসামি তাকে মারধর করেন এবং বলেন, বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে এলে ভালোভাবে রাখব। পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত থাকার বিষয়েও স্ত্রী প্রশ্ন তুললে তাকে গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে যৌতুক না পেয়ে আসামি রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে বাবার বাড়ি আশ্রয় নেন। স্ত্রীর পরিবার একাধিকবার আপোষের চেষ্টা করলেও আসামি যৌতুক ছাড়া স্ত্রীকে ঘরে তুলবেন না বলে জানান বলে অভিযোগ আনা হয়।
আমার বার্তা/এল/এমই