কালোমেঘের ভিতরে একটি মেয়ে হাঁটে।
তার বয়স নেই,
নেই কোনো ঠিকানা,
তবু সে হাঁটে।
তার চুলে লেপ্টে থাকে বৃষ্টির গন্ধ,
যেন নদী এখনো শুকোয়নি তার ঘাড়ে।
তার স্তন দুটো যেন দুটি অবাধ্য গল্প—
একটায় প্রেম,
অন্যটায় প্রতারণার দাগ।
সে যখন হাঁটে,
রাস্তার কুকুর থেমে যায়,
আর ট্র্যাফিক সিগন্যালে লাল আলো চোখ বুজে ফেলে।
মেয়েটির নাম কেউ জানে না,
তবে আমি একবার শুনেছিলাম,
এক বুড়ি বলছিল—
"ওই যে, ও তো খিচুড়ি রান্না করতে করতে
একদিন নিজের প্রেমিককে গিলে ফেলেছিল।"
সে কি মানুষ?
না কি—
ছেঁড়া ওড়নার মতো আকাশের নিচে উড়ে বেড়ানো
এক চুপচাপ প্রতিবাদ?
সে দাঁড়ায় বালির বস্তার পাশে,
যেখানে রাষ্ট্র বৃষ্টিকে ঠেকাতে চায়।
সে ঠোঁট কামড়ে হাসে,
আর বলে—
"আমার ভিতরেই তো তোমার আস্ত একটা দেশ লুকিয়ে আছে,
তবু তুমি আমাকে বস্তি বলো?"
সে হঠাৎ হেঁটে যায় পুরনো রেললাইনের উপর,
তার পায়ের তলায়
শুনতে পাই বহু পুরুষের নাভির শব্দ।
তারা ডাকে— মা!
সে জুতো খুলে ফেলে,
একটা নখ ভেঙে রক্ত বের হয়।
সেই রক্তে সে লিখে—
"আমি তো ছিলামই এখানে, তোমার ভাষার ভিতরে।"
মেয়েটি একদিন এক পাগল কবির পাশে দাঁড়ায়,
যে বলছিল—
"কবিতা লিখি না আর, কারণ শব্দেরা আমাকে ধর্ষণ করে।"
সে কবির কাঁধে হাত রাখে।
তার চোখে তখন শুধু
একটা আয়নার ভাঙা টুকরো,
যেখানে আমি, তুমি, ও আমাদের কুকুরটির মুখ একইরকম দেখা যায়।
শেষ দৃশ্য—
মেয়েটি ঢুকে পড়ে এক মেঘের গুহায়,
সেখানে বাতি নেই, ঈশ্বর নেই,
শুধু কিছু শুকনো স্তনের ছায়া আর শৈশবের শব্দ ভাসছে।