
আগামী নির্বাচনের জন্য বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে আরও অনেক বেশি সমঝোতা, বোঝাপড়া এবং নীতিগত ঐক্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বাসায় ফেরার আগে এ কথা বলেন তিনি।
মো. তাহের বলেন, আল্লাহর মেহেরবানিতে অনেকটা সুস্থ অবস্থায় বাসায় যাওয়ার জন্য আজকে এখান থেকে বেরিয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেশের মানুষেরা খবর পেয়েছে, আমার জন্য নানাভাবে দোয়া করেছেন, নামাজ পড়েছেন, রোজা রেখেছেন, কাবা শরীফে দোয়া হয়েছে। আমি সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট মনিরুজ্জামান সাহেব তার টিমসহ আমাকে এক্সামিন করছিলেন। আমার ব্লকটা ছিল পাথরের মতো শক্ত। স্বাভাবিকভাবে স্টেন্ট করা কঠিন ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল ডা. মনিরুজ্জামান ও ডা. জাহাঙ্গীর কবির সাহেব এবং কিডনির একজন প্রফেসরের সমন্বয়ে। তারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে ওপেন-হার্ট সার্জারি করবেন নাকি সিঙ্গাপুরে পাঠাবেন। কিন্তু বলেছি আমি এখানেই স্টে করব। আলহামদুলিল্লাহ, ব্লক ভালোভাবে স্টেন্টিং হয়েছে এবং আমি এখন সুস্থ আছি।
তিনি বলেন, আজকে আমি অত্যন্ত বেদনা-উৎকণ্ঠা ও আবেগের সঙ্গে বাংলাদেশের সব মানুষের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এ অবস্থায় আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনা করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সাক্ষ্য দিতে পারি— বেগম জিয়া একান্তভাবে একজন দেশপ্রেমিক নেত্রী, গণতান্ত্রিক নেত্রী। বিগত ১৫ বছরে দেশ যেভাবে ভারতীয় দখলে গিয়েছিল— এটা তার অনেক আগেই চলে যেতে পারত। কিন্তু উনার দৃঢ়তার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আজকে উনি কোনো দলের নেত্রী নন, দেশের সমগ্র মানুষের নেত্রী। উনার প্রতি আবেগ-ভালোবাসা আমাদের আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ও আরোগ্য কামনা করছি। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তার সুস্থতা কামনা করে আমরা অনেক প্রোগ্রাম করেছি।
তিনি বলেন, আজকের দেশের এই অবস্থায় জাতীয় রাজনীতি এবং আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে বৃহৎ দলগুলোর ভেতরে আরও অনেক বেশি বোঝাপড়া প্রয়োজন।
আমার বার্তা/এমই

