নির্বাচন নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে বিএনপি নয়, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে বলেন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেছেন, জনগণের বহু আকাঙ্খার নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট এ দেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাদের রুখে দেবে দেশের জনগণ।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ কর্মজীবী দল আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য এ দেশের মানুষ ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছে। কিন্তু ৭১ বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে পিআর পদ্ধতিতে ভোট চাচ্ছে। যদি এই দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে আল্লাহ ছাড়া কেউ ধানের শীষকে রুখতে পারবে না। ড. ইউনূস সম্মানিত লোক। সারাবিশ্বে তাঁর সুনাম রয়েছে কিন্তু তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসে তাঁর নাম কলঙ্কজনকভাবে লেখা থাকবে।’
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যারা বুকের রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছে, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে দেশের মানুষ সেটা রুখে দেবে। এই দেশটা এখন জনগণের। এটা এখন আর হাসিনার বাংলাদেশ নয়। আমার ভোট এখন আমিই দেব, সে ভোটের জন্য আমরা আত্মাহুতি দিয়েছি। এই ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ১৬টি বছর অপেক্ষা করেছি। এখন যদি কেউ সেই ভোটাধিকার হরণ করতে চায়, তাহলে তার জবাব আপনারাই দেবেন। যদি এই দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, আল্লাহ ছাড়া কেউ ধানের শীষকে রুখতে পারবে না।’
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের যে ট্রেন চালু হয়েছে, তাতে আপনারা মানুষের সমর্থন তখনই পাবেন, যখন বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করবেন, গ্রামে যারা অত্যাচার করে, তাদের রুখে দেবেন। পদ নয় বরং দলকে ভালোবাসবেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই দেশে পিআর, ইভিএম কিছুই টিকতে পারে নাই। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যখন ছিলেন, তখন লুট করেছিলেন। প্রতিবেশী দেশকে সবকিছু দিয়ে দিয়েছিলেন। এখন ভালোবেসে তো সেখানেই চলে গেছেন। ভালোবাসায় ওখানেই থাকেন, উসকানি আর দিয়েন না। আপনার উসকানি ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ প্রস্তুত আছে।’
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আলী হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।
আমার বার্তা/এমই