ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মানবিক করিডোর নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে: খলিলুর রহমান

আমার বার্তা অনলাইন:
২১ মে ২০২৫, ১৬:৪২
আপডেট  : ২১ মে ২০২৫, ১৬:৪৪
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কথা বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, প্রায় ১২ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। নতুন করে আরেকটি ঢল সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। এটি একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার (২১ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাখাইন অঞ্চলের মানবিক করিডোর ইস্যু নিয়ে ডাকা প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন।

রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বশেষ অবস্থান কী, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে তীব্র মানবিক সংকটের কারণে সেখানে মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। ইউএনডিপির পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেখানে আসন্ন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে যে, এমন পরিস্থিতি রাখাইন থেকে আরও মানুষকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করবে।

এরই মধ্যে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে আরও বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝায় পরিণত হয়েছে।

রাখাইন রাজ্যের মানবিক সংকট বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করতে শুরু করে। যেহেতু সংঘাতের কারণে সাহায্য সরবরাহের অন্যান্য সকল পথ বর্তমানে অকার্যকর, তাই বাংলাদেশই এখন একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প। প্রাথমিকভাবে চিন্তা করা হয়েছিল যে জাতিসংঘ তার চ্যানেলের মাধ্যমে রাখাইনে সহায়তা বিতরণের ব্যবস্থা করবে এবং মিয়ানমার সীমান্তজুড়ে সহায়তা পৌঁছাতে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে।

এছাড়া, বাংলাদেশ মনে করে যে রাখাইনে সাহায্য প্রদান রাজ্যটিকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে।

রাখাইনে সাহায্য প্রদানের ব্যাপারে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি কারণ এর জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সম্মতি এবং সহায়তা প্রদানের জন্য বেশ কিছু পূর্বশর্ত পূরণের প্রয়োজন যা বিশ্বের সবখানেই মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে একইভাবে পূরণযোগ্য।

এর মধ্যে রয়েছে, সহায়তা প্রদানকারী এবং গ্রহীতাদের নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার, সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য না করা, সহায়তাকে সামরিক উদ্দেশে ব্যবহার না করা এবং সশস্ত্র কার্যকলাপ স্থগিত রাখা।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরাকান সশস্ত্র বাহিনী যখন মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অংশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন বাংলাদেশ সরকার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। নিজ সীমান্ত রক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ রাখা বাংলাদেশের কর্তব্য। এ কারণেই বাংলাদেশ আরাকান সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশ সরকার রাখাইনে মানবিক সহায়তা প্রদান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এবং আরাকানের শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা কাঠামোর সব স্তরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার স্বার্থে আরাকান বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে।

বাস্তবিক প্রয়োজনেই আরাকান বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের এ যোগাযোগ। একই সঙ্গে, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ বজায় রাখছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সংকট টেকসইভাবে সমাধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার প্রস্তাবে বাংলাদেশের সম্মতির জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্তগুলো কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে একমত হতে হবে। পাশাপাশি আরাকান বাহিনীকে নিশ্চিত করতে হবে যে সহায়তা প্রদানকারী এবং গ্রহীতাদের প্রবেশাধিকার যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সহায়তাকে সামরিক উদ্দেশে যেন ব্যবহার না করা হয় এবং কোনো সশস্ত্র কার্যকলাপ যেন না ঘটে।

আরাকান বাহিনী রাখাইনের শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা কাঠামোর সব স্তরে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করে রাখাইনে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এ প্রতিশ্রুতির প্রতি তাদের অবিচল থাকতে হবে। তা না হলে এটিকে সারাবিশ্বে জাতিগত নিধন হিসেবে দেখা হবে, যা বাংলাদেশ মেনে নেবে না। আমরা এ বিষয়ে আরাকান বাহিনীর প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।

খলিলুর রহমান বলেন, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা যিনি প্রদান করেন এবং যিনি গ্রহণ করেন উভয়ের জন্যই নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। ল্যান্ডমাইন ও আইইডির মতো বিস্ফোরক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য হুমকি। সহায়তা প্রদানের আগে এ বিষয়গুলো সমাধান করা প্রয়োজন।

রোহিঙ্গা ঢলের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে আরও বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব না। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরাকান বাহিনী এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘাতের সময় রাখাইন থেকে বিপুল পরিমাণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপরও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, যদিও সেটি সংখ্যায় কম।

আরও মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে সেটি ঠেকাতে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকার আরাকান বাহিনীকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর আর কোনো সহিংসতা, বৈষম্য এবং বাস্তুচ্যুতি যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আরাকান বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনসহ সব আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। গোটা বিশ্ব তাদের কার্যক্রম দেখছে। বাংলাদেশ আরাকান বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে কি না তা এই অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বের ওপর নির্ভর করবে।

আমার বার্তা/এমই

শেখ হাসিনার হলফনামায় গরমিল : ব্যবস্থা নিতে ইসিকে দুদকের চিঠি

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় হলফনামায় দাখিল করা সম্পদ বিবরণী ও

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত হলো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে

আজও শাহবাগ মোড় অবরোধ, যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার তদন্তে গাফিলতির প্রতিবাদ এবং

আসিফ-মাহফুজ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়াতে হবে। সেই সঙ্গে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনার হলফনামায় গরমিল : ব্যবস্থা নিতে ইসিকে দুদকের চিঠি

সাম্য হত্যার বিচারে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন

পাঁচ মাস পর চিলমারী-রৌমারীতে ফেরি চলাচল শুরু

আন্দোলন স্থগিত করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন

দীর্ঘ অনুপস্থিতি ও অসদাচরণের অভিযোগে পবিপ্রবির শিক্ষক বরখাস্ত

সাজার রায়ের বিরুদ্ধে জুবাইদার আপিলের পরবর্তী শুনানি ২৬ মে

এনসিপিকে নির্বাচনবিরোধী কলঙ্ক দেওয়ার চেষ্টা চলছে: হাসনাত আবদুল্লাহ

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত হলো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

রাবির ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সরকার ৯ মাসেও দেশকে স্থিতিশীল করতে পারেনি: গণঅধিকার পরিষদ

রাজধানীতে গভীর রাতে চালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় স্বামীর উপর অভিমান করে দুই নারীর আত্মহত্যা

অভিনেত্রী শাওন-ডিবি হারুনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এক পরিবারের পাঁচ সদস্যকে বিএসএফের পুশ ইন

জেলেনস্কির পর এবার হোয়াইট হাউজে নাস্তানাবুদ হলেন দ. আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট

আজ ২২মে, বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস

সরকারের কেউ কেউ তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে অনিরাপদ করতে চায়

দুম্বার খামার প্রস্তুত হচ্ছে কোরবানির জন্য

মহানবী (সা.) মসজিদুল হারামের যেসব স্থানে নামাজ পড়েছিলেন

শাড়ি পরতেই ৫ ঘণ্টা সময় নেন ক্যাটরিনা কাইফ