রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় লালবাগ ও কদমতলীতে স্বামীর উপর অভিমানে শারমিন (১৭) ও নুর নাহার (১৯) নামে দুই নারী আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের দাবি।
বুধবার দিবাগত রাতের দিকে লালবাগের নবাবগঞ্জের বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় গৃহবধূ শারমিনকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই রুবেল জানান, আমার বোন একটু রাগী স্বভাবের ছিল। মাত্র ৬ থেকে ৭ সাত মাস আগে বিয়ে হয় আমার বোনের। এরপর তারা নবাবগঞ্জের একটি তৃতীয়তলা ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকতো। গতরাতে পারিবারিক কলহের জোরে হঠাৎ করে শারমিন ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। বেশ কিছু সময় পার হলেও তার কোন সারা শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখি জানালার গ্রিলের সাথে প্যান্টের বেল্ট গলায় পেচিয়ে ঝুলে আছে শারমিন। পরে দ্রুত তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান আমার বোন আর বেঁচে নেই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে বুধবার দিবাগত রাতের দিকে কদমতলী নামা শ্যামপুর এলাকার একটি বাসায় স্বামীকে ডিউটিতে যেতে বারণ করায় অভিমান করে ঘরে গিয়ে ছিটকিরি বন্ধ করে নুর নাহার (১৯) নামে এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের দাবি।
কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) কামরুন নাহার জানান, গতরাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ সকালের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, নিহতের স্বামী কাজে ডিউটিতে যাচ্ছিল। কিন্তু স্ত্রী নুরুন্নাহার তাকে কাজে যেতে বাধা প্রদান করে। পরে তার স্বামী শ্বশুরের অনুমতি নিয়ে কাজে যায়। এতে গৃহবধূ নুরুন্নাহার অভিমান করে ঘরে গিয়ে ছিটকিনি বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আমার বার্তা/এম রানা/এমই