দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সন্তান, বোন এবং তার সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও দু-একটি মামলা অনুসন্ধানে রয়েছে।
রোববার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটায় দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জের আয়োজনে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ড. আবদুল মোমেন।
গণশুনানিতে দেওয়া সূচনা বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্নীতি বৈষম্যের সৃষ্টি করে। দুর্নীতি যতটা কমিয়ে আনা যাবে বৈষম্য ততটা কমবে।’
ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘শুধু দুদক নয়, সরকারি অফিসের প্রধানরা সপ্তাহে একদিন অফিস খোলা রেখে সেবাপ্রত্যাশীদের কথা শোনেন। তাদের অভিযোগ শুনে সমাধান দেবেন।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকর্তাদের সেবা প্রদানে আরও আন্তরিক হতে হবে এবং সেবাগ্রহীতাদের চাহিদার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সম্প্রতি জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ, ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন এবং ’৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার পরেই শুরু হয় অভিযোগকারীদের সরাসরি গণশুনানির কার্যক্রম।
মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।
জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আখতার হোসেন, পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জের উপপরিচালক মো. এরশাদ মিয়া।
আজ গণশুনানিতে ৫৯টি সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গণশুনানিতে পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ, সাবরেজিস্ট্রার অফিস, সরকারি হাসপাতাল, মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, পিডিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জালাবাদ গ্যাসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনানি হয়।
গণশুনানিতে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দপ্তর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জুলাই যোদ্ধা, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আমার বার্তা/এমই