ই-পেপার শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুইবারের বেশি চান না ৬৪ ভাগ মানুষ: জরিপ

আমার বার্তা অনলাইন:
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৭

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের বেশি হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষ। তবে ১০ শতাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ পরপর দুবারের বেশি হতে পারে। আর ১৫ শতাংশ মনে করে, মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সেই সঙ্গে একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রধান পদে থাকা উচিত নয় বলে মনে করে ৪৯ শতাংশ এবং ৩৭ শতাংশের মতে, দুই পদে এক ব্যক্তি থাকতে পারেন। পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের পক্ষে ৮৬ শতাংশ মানুষ।

সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত জাতীয় জনমত জরিপ-২০২৪-এ মানুষের এ ধরনের মতামত উঠে এসেছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে জরিপটি পরিচালনা করে। সম্প্রতি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সঙ্গে জরিপটি প্রকাশ করা হয়।

কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, জরিপে ৫ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দেশের ৬৪ জেলা থেকে সরাসরি সাক্ষাৎকার পদ্ধতিতে ৪৫ হাজার ৯২৫টি খানার (পরিবার) ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সি মানুষের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হয়।

জরিপের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ। আরও ৬ শতাংশের বেশি এ বিষয়ে না জানার কথা জানিয়েছে। উত্তর দিতে রাজি হয়নি প্রায় ২ শতাংশ মানুষ। জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে রাষ্ট্রপতির হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ মানুষ। ৪৫ শতাংশ মনে করে, ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতেই থাকা উচিত। জাতীয় সংসদের মেয়াদ চার বছর করার পক্ষে নন সাধারণ মানুষ। পাঁচ বছর মেয়াদের পক্ষে ৭৮ শতাংশ, চার বছরের পক্ষে ১৬ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ। সংসদ গঠনের ক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ৭৮ শতাংশ মানুষ প্রার্থীর প্রাপ্ত সর্বোচ্চ ভোটের পক্ষে মত দিয়েছে।

বর্তমানের প্রচলিত ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছেন তারা। রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে সংসদ গঠনের পক্ষে ৯ শতাংশের কম মানুষ।

সংসদকে দুইভাগে অর্থাৎ উচ্চ ও নিম্নকক্ষে বিভক্ত করার পক্ষে ৩৫ শতাংশ মানুষ। আর ৩৯ শতাংশ এর বিপক্ষে। ২৩ শতাংশের বেশি মানুষ এর উত্তর দিতে নারাজ। বর্তমান পদ্ধতিতে সংসদ-সদস্যরা সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। ৮৩ শতাংশ মানুষ মনে করে, এক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকা উচিত নয়। সংবিধান সংশোধনসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোটের পক্ষে মত দিয়েছে প্রায় ৮২ শতাংশ মানুষ। নারী আসনের পক্ষে ৭৫ শতাংশ মানুষ। জাতীয় সংসদে এখন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনসংখ্যা ৫০।

তবে সেখানে সরাসরি ভোট হয় না। সংবিধানে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সুরক্ষিত করার সুস্পষ্ট বিধানের পক্ষে ৯১ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ। নাগরিকদের মতপ্রকাশ ও কথা বলার স্বাধীনতায় কোনো ধরনের বিধিনিষেধ সংবিধানে থাকা উচিত নয় বলে মনে করে ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা। আর ৪৩ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ সাংবিধানিক বিধিনিষেধের পক্ষে। সভা-সমাবেশ ও মিছিলে যোগ দেওয়ার স্বাধীনতা সীমিত করার ক্ষমতা সংবিধানে থাকার পক্ষে ৬১ শতাংশের বেশি মানুষ। ২৯ শতাংশ মনে করে, এ ক্ষমতা সংবিধানে থাকা উচিত নয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৯১ সালে গণতন্ত্রে ফেরার পর থেকে বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা) বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এরপর সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তিনটি জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে করেছে। নির্বাচনগুলো ছিল একতরফা, পাতানো ও প্রহসনের। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। হাইকোর্ট ১৮ ডিসেম্বর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের দুটি ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করেন।

আমার বার্তা/এমই

বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব তুলে ধরে সরকারি ডকুমেন্টারি প্রকাশ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান

মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি‌দের ভোট দি‌তে উদ্বুদ্ধ ক‌রে‌ছে হাইক‌মিশন

বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং অগ্রণী রেমিট্যান্স এসডিএন বিএসডি-এর যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি মালয়শিয়ার জোহর রাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশি

খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ এসএসএফ নিরাপত্তা পাবেন না

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) নিরাপত্তা শুধু বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাবেন

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে ৮৮ বন মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

টাঙ্গাইল বন বিভাগের মধুপুর অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও স্থানীয় বাঙালিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৮৮টি বন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিপিএলে চট্টগ্রামের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন হাবিবুল বাশার

বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান

দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০-৩৫ টাকা

ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন জোবাইদা রহমান

ঢাকায় আসছেন তার পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান

আরও ৩০ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল, আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এখনও আসেনি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা বিলম্ব

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগকালে আটক ৩

বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব তুলে ধরে সরকারি ডকুমেন্টারি প্রকাশ

সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন হামলা, নিহত ৪

৫ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি‌দের ভোট দি‌তে উদ্বুদ্ধ ক‌রে‌ছে হাইক‌মিশন

এতিম ও নারীদের জন্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করলেন মির্জা ফখরুলের পরিবার

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্ভার ডাউন, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে ভোগান্তি

খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ এসএসএফ নিরাপত্তা পাবেন না

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক দিনে ২ বাংলাদেশি যুবক নিহত

অনিবার্য কারণ ছাড়া নির্বাচন বিলম্বিত হোক বিএনপি চায় না: নজরুল ইসলাম

জকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর

বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ও ঐক্যের প্রতীক: আমিনুল হক