২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে এসে দেখা দেয় করোনা ভাইরাস। ২০২০ সালে যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে মহামারী আকারে। ৪ বছর শেষ হয়ে আসলেও করোনা প্রভাব থেকে এখনও পুরোপুরি বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে চীন, আমেরিকাসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়েছে নতুন আতঙ্ক। রহস্যময় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে সেসব দেশের শিশুরা।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের বেশ কিছু স্কুলে পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই আপাতত বন্ধ আছে অনেক স্কুলের পাঠদান।
শীতকালে জীবাণুর দ্রুত সংক্রমণ হয়। এসময় বেশি মানুষ তাই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে শিশুরা। নিউমোনিয়া মূলত তিন ধরনের। কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (ক্যাপ), হসপিটাল অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (হ্যাপ) এবং ভেন্টিলেটর অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (ভ্যাপ)। এর মধ্যে হ্যাপ আর ভ্যাপে আক্রান্ত হওয়া মানুষের শরীরের দ্রুত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শিশুদের যেসব লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হবেন
নিউমোনিয়ার প্রধান লক্ষণ অস্বাভাবিক জ্বর। শিশুর যদি জ্বর হয় এবং তা ক্রমশ বাড়তে থাকে তবে সতর্ক হোন।
নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে কাশিও হয়। অনেকের বুকে ব্যথা করে। এই নিউমোনিয়া হলে শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জ্বর আর কাশি না কমলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বুকের এক্স-রে করান। একসঙ্গেই জ্বরের মাত্রা না কমলেও শিশুকে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো শ্রেয়। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এই অসুখের জীবাণু শরীরের মধ্যে দ্রুত ছড়াতে থাকে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে করণীয়
অল্প শীতেও শিশুদের গরম পোশাক পরিয়ে রাখুন। বাইরে বের হলে কানঢাকা টুপি পরান।
শিশুকে নিউমোনিয়ার টিকা দেওয়া আছে কি না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখুন। না দেওয়া থাকলে সবার আগে টিকাকরণ জরুরি।
শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রচুর পরিমাণ ‘ভিটামিন সি’। রোজ সাইট্রাস ফল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে, রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করা সহজ হয়।
আমার বার্তা/জেএইচ