
২০৫০ সালের মধ্যে বনে-জঙ্গলে বিচরণ করা বন্য (ফেরাল) বিড়াল সম্পূর্ণ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এমন ঘোষণার পর দেশটিতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রায় এক দশক আগে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হলে তখনও পরিবেশবাদীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল এ প্রস্তাব।
নিউজিল্যান্ডের সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দেশের ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ কৌশলে বন্য বিড়ালকে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৬ সালে এ কৌশল চালুর পর এই প্রথম কোনো নতুন শিকারি প্রাণীকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
দেশটির কিছু এলাকায় বন্য বিড়াল ইতোমধ্যেই ধরা ও মারার ঘটনা ঘটেছে। ঘোষণা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত হলে বৃহৎ আকারের এ প্রাণীটির নির্মূল অভিযান চালানো হবে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা ২০২৬ সালের মার্চে প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, নিউজিল্যান্ডের বনে ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে ২৫ লাখের বেশি বন্য বিড়াল রয়েছে। এরা লেজসহ প্রায় এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং ওজন ৭ কেজি পর্যন্ত হয়। এরা স্থানীয় বন্যপ্রাণী বিশেষ করে রাকিউরা স্টুয়ার্ট আইল্যান্ডে পুকুনুই (সাউদার্ন ডটারেল) পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিয়েছে এবং রুয়াপেহুর কাছে বাদুড় হত্যা করছে।
নিউজিল্যান্ডের সংরক্ষণ মন্ত্রী তামা পোতাকা বলেন, জীববৈচিত্র্য বাড়াতে, প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে এবং আমরা যে পরিবেশ চাই তা নিশ্চিত করতে হলে—এই হত্যাকারীদের কিছু সংখ্যাকে নির্মূল করতেই হবে।
নিউজিল্যান্ডে বন্য বিড়াল হত্যা করার সিদ্ধান্ত বহু বছরের প্রচারণার ফল যদিও অতীতে এ নিয়ে জনমত তীব্রভাবে বিভক্ত ছিল। পরিবেশবাদী গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ক্যাটস টু গো অভিযান শুরু করলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। শিশুদের ফেরাল বিড়াল গুলি করার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হলে প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলো কঠোর বিরোধিতা করে। তবে সংরক্ষণ বিভাগ জানিয়েছে, নতুন খসড়া কৌশল নিয়ে প্রাপ্ত মতামতের ৯০ শতাংশ ফেরাল বিড়াল নিয়ন্ত্রণ বা তাদের তালিকাভুক্তির পক্ষে মতামত দিয়েছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
আমার বার্তা/এল/এমই

