বিদেশি আক্রমণ ও উপনিবেশিক শাসনের কারণে ভারতের হিন্দু জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এমনটাই দাবি করেছেন দেশটির উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
তার দাবি, ১১০০ সালের দিকে ভারতের জনসংখ্যা ৬০ কোটি থাকলেও ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার সময় তা ৩০ কোটিতে নেমে এসেছিল। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিদেশি আক্রমণ ও উপনিবেশিক শাসনের কারণে ভারতের সম্পদ ও জনগণের শোষণ হয়েছে, একই সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে হিন্দু জনসংখ্যা।
মঙ্গলবার লখনৌতে রাজ্য পর্যায়ের এক কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও দাবি করেন, ১১০০ খ্রিস্টাব্দে ভারতের হিন্দু জনসংখ্যা প্রায় ৬০ কোটি ছিল। আর দেশ স্বাধীনতা অর্জন করার সময়, অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে, তা নেমে দাঁড়ায় প্রায় ৩০ কোটিতে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “১১০০ সালের দিকে ভারতের হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৬০ কোটি। কিন্তু ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় তা নেমে আসে মাত্র ৩০ কোটিতে। বলুন তো, ৮০০-৯০০ বছরে জনসংখ্যা বাড়া উচিত ছিল, নাকি কমা উচিত ছিল?”
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ভারতের সমৃদ্ধির জন্য যা কিছু প্রয়োজন ছিল, সবই এই দেশে ছিল। তবু বিদেশি শাসকের বিভাজনমূলক নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত।
তার ভাষায়, “ভারতে কী ছিল না? সবই ছিল। কিন্তু জাতি, অঞ্চল, ভাষা ও নানা কারণে মানুষকে ভাগ করেছে কিছু লোক। আজও তারা একই বিদেশি মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে। সমাজকে বিভক্ত করছে, বিভাজন তৈরি করছে।”
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে শুরু হওয়া স্বদেশি আন্দোলনের লক্ষ্য হলো ভারতীয় শ্রমিক ও যুবকদের শক্তিশালী করা।
যোগী বলেন, “এই স্বদেশি প্রচারণাকে নানা দিক থেকে প্রশ্ন করা হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বার্তা স্পষ্ট: যা কিছু ভারতীয় শ্রমিকের ঘাম ও ভারতীয় যুবকদের প্রতিভায় তৈরি, সেটাকেই আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে।”
আমার বার্তা/জেএইচ