সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছে পাকিস্তান। এই লড়াইয়ে দেশটি বিপুল ক্ষয়ক্ষতির শিকারও হয়েছে। এমন অবস্থায় সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পাকিস্তান।
দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু অস্ত্রধারী এই দেশটি বলছে, সন্ত্রাসীদের পরিণতি হবে ভারতের বিমান বাহিনীর মতোই। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ একথা বলেছেন।
শনিবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ দেশের সন্ত্রাসীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তারা ঠিক সেই পরিণতির সম্মুখীন হবে, যেটি হয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর। শনিবার সিয়ালকোটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আগে জাতির মধ্যে ভাঙন ছিল, কিন্তু এখন সবাই ঐকবদ্ধ।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যেভাবে দ্রুত ও শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, “১০ মে আমাদের সাহসী সেনাবাহিনী শত্রুকে দৃঢ় জবাব দিয়েছে। তখন আমাদের নেতৃত্ব ছিল পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ও বিশ্বাসে ভরপুর। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, বেসামরিক নেতৃত্বও সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন— মাতৃভূমির রক্ষায় পাকিস্তান শেষ সীমা পর্যন্ত যাবে। পাকিস্তানের জনগণ তাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে আছে। ভারতের আগ্রাসন আসলে জাতিকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাস ছড়ানোর পেছনে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তারা তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। এখন আমাদের যুদ্ধ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে— আর তাদের পরিণতি হবে ভারতের বিমানবাহিনীর মতোই।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে প্রতিটি ফ্রন্টেই আমরা জয়ী হয়েছি। আল্লাহর কৃপায় আমরা সবখানে সফল হয়েছি”। খাজা আসিফ ভারতকে সতর্ক করে বলেন, “যদি ভারত আবার এমন কিছু করার সাহস দেখায়, তবে আগের চেয়েও শক্তিশালী জবাব পাবে।”
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান বিমানবাহিনীর নজরে ছিল ভারতের ১০টি যুদ্ধবিমান।”
আমার বার্তা/জেএইচ