
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন জাতির বিবেক ও সূর্য সন্তান। দেশকে মেধাশূন্য করতে তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যার নীলনকশা করেছিল। আর বুদ্ধিজীবীদের আত্মদান ও তাজা রক্তের বিনিময়েই আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছি।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি এ কথা বলেন৷
উপাচার্য বলেন, আমাদের ভূখণ্ড, মানুষ ও জাতীয় পতাকা রক্ষা করা আমাদের যৌথ নৈতিক দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী ও সর্বস্তরের মানুষ যে বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটি বাস্তবায়ন করাই হবে তাদের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ উপহার দেওয়াই আমাদের প্রত্যাশা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রসাশন) প্রফেসর সাইদ ফেরদৌস, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর মো. আনিসুর রহমানসহ বিভিন্ন স্কুল ও বিভাগের ডিন ও পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এর আগে, সকালে গাজীপুরের প্রধান ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জোহর নামাজের পর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। একইসঙ্গে দেশের সব আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রেও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে একই রকম কর্মসূচি পালন করা হয়।
আমার বার্তা/এমই

