
এনটিআরসিএ সরাসরি ১–১২তম ব্যাচের নিবন্ধিত শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার হরণ করেছে। শুধু তাই নয়—আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে—এ কথাও স্বীকার করেছে সংস্থাটি নিজেই।
শিক্ষকগণ জানান, শিক্ষা উপদেষ্টাদ্বয়ের পক্ষ থেকেও স্বীকারোক্তি এসেছে যে, শিক্ষক নিয়োগের নামে ভোটার নিয়োগ হয়েছে, অনিয়ম হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন জাগে—যে বৈধ নিবন্ধিত, যোগ্য, মেধাবী শিক্ষকরা বছরের পর বছর বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের নিয়োগ আটকে রাখছে কারা?
উত্তর স্পষ্ট—যারা এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বারবার জটিল করছে, তারাই সিন্ডিকেট চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা চায় না শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, চাই না শিক্ষায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক।
সুতরাং এখন সময়ের দাবি—
১–১২তম ব্যাচের নিবন্ধিত শিক্ষকদের অবিলম্বে নিয়োগ প্রদান।
কারণ এটি কেবল নিয়োগ নয়—এটি ন্যায়বিচার, সুশাসন এবং নাগরিক অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
যে কোনো সচিব বা কর্মকর্তা সুশাসন ও ন্যায়বিচারের পথে বাধা হয়ে “জল ঘোলা করার” চেষ্টা করলে বুঝতে হবে
শিক্ষকগণ আরও বলেন, তারা অতীতেও জল ঘোলা করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
তাদের অপকর্মের বলি হওয়া উচিত নয় দেশের যোগ্য দক্ষ নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগ প্রার্থীদের।
বাংলাদেশকে বৈষম্যের অন্ধকার থেকে মুক্ত করার জন্য, শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার জন্য এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ১–১২তম নিবন্ধিত শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নিবন্ধনধারীরা।
আমার বার্তা/এল/এমই

