মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সুতালড়ি ইউনিয়নে সেলাই মেশিন বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সহকারী প্রকৌশলী রিপন আলী, ইউপি সচিব মঞ্জুরুল হক ও প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য সোলাইমান ওরফে সুরমান মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে মেশিন কিনে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে।
জানা গেছে, ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা (এডিপি) প্রকল্পে দরিদ্র নারীদের জন্য বাটারফ্লাই ব্র্যান্ডের সেলাই মেশিন কেনা হয়। যার বাজারমূল্য ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা হলেও প্রকল্পে প্রতিটির দাম ১৪ হাজার টাকারও বেশি দেখানো হয়েছে। ১৮টি মেশিন কেনায় প্রায় লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়ের অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার বিতরণ কার্যক্রমে গিয়ে দামের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক বিতরণ স্থগিত করেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে ইউএনও কোহিনুর আক্তার বলেন, বাজারদরের সঙ্গে প্রকল্পের দামের পার্থক্য থাকায় বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী রিপন আলী বলেন, বাজার যাচাই করেই এস্টিমেট তৈরি করা হয়েছে। আমি ক্রয়ে জড়িত নই। ইউপি সচিব, চেয়ারম্যানসহ প্রকল্প কমিটির সদস্যরা বলতে পারেন। আর এখনও তো বিল হয়নি। তারা নিজের টাকা দিয়ে কিনতে পারেন।
সুতালড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মঞ্জুরুল হক বলেন, এলজিইডি প্রকৌশলীর দেয়া এস্টিমেট খরচ অনুযায়ী ক্রয় করা হয়েছে। আর ক্রয় করেছে কমিটি। আমি কমিটির সঙ্গে মানিকগঞ্জ গিয়েছিলাম অন্যকাজে। আমি ক্রয় করিনি।
প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য সোলাইমান ওরফে সুরমান বলেন, আমি আসলে এমন প্রকল্পের সভাপতি কখনও ছিলাম না। আমার এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই।
আমার বার্তা/এল/এমই