সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ খুলনা রেঞ্জ অধিনাস্ত এলাকা জুড়ে নিষিদ্ধ সময়ে চলছে মাছ-কাঁকড়া শিকার। এমন তথ্য বেরিয়ে আসছে সুন্দরবন উপকূল এলাকা খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ঘোড়িলাল, গোল খালি, আংটিহারা, জোড়সিং বিনা পানি,হরিয়ারপুর, কাঠকঠা,পাথর খালি,৬নংকয়রা,৫নং কয়রা, ৪নংকয়রা, মঠবাড়ি,তেঁতুলতলার চর,শেখের কোনা।
গত এক সপ্তাহ এসব এলাকা ঘুরে সরজমিনে দেখা গেছে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ বানিয়াখালি স্টেশন, হায়াতখালি বন টহল ফাঁড়ি, কাশিয়াবাদ স্টেশন, শাকবাড়িয়া বন টহল ফাঁড়ি, বজবজা বন টহল ফাঁড়ি, খাসিটানা বন টহল ফাঁড়ি থাকা সত্যেও প্রতিনিয়ত সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ,কাঁকড়া শিকার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেয়লসি ধারী কয়েকজন জেলে বলেন সুন্দরবন এখন আর বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে চলনা। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় সুন্দরবনের মাছ,কাকড়া ব্যবসাহিরা বন বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও প্রভাব শালী বেক্তি দের সাথে চুক্তি বদ্ধ ভাবে সুন্দরবনে কীটনাশক ও নিষিদ্ধ ভেষাল জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে পাঠাচ্ছে।
সাধারণ আরও কয়েকজন জেলেরা বলেন এভাবে যদি সুন্দরবনে মাছ, কঁকড়া শিকার চলতে থাকে তাহলে প্রজন্ম সময় ব'লে সুন্দরবনের পাশ-পারমিট বন্ধ করে কি লাভ হলো। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জেলেরা লাভবান হচ্ছে বন বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তা,স্থানীয় প্রভাব শালী বেক্তি ও কিছু অসৎ জেলেরা। আমাদের দাবি যাঁরা সুন্দরবনের নানা অপকর্মের সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা-৬ সংসদীয় আসনের সাংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন সুন্দরবনের মাছ, কাঁকড়া প্রজন্ম সময়ে শিকার করা অন্যায় এটা সাধারণ জনগণকে বুঝতে হবে। কিছু অসৎ জেলেরা সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার করছে তাদের কে এটা বুঝতে হবে আমাদের ক্ষতি আমরাই করছি আমরা যদি বিরত থাকি তাহলে আগামী দিনে সুন্দরবনে বেশি মাছ,কাঁকড়া পাবো।বন বিভাগের কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসন কে বুঝতে হবে সরকারের দিকনির্দেশনা কে মেনে কাজ করতে হবে প্রভাব শালী বেক্তি ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের কথায় প্রভাবিত না হয়ে সাতাস্ফূর্ত ভাবে কাজ করে যেতে হবে। সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয় এটা বিশ্বের সম্পদ রক্ষা করতে প্রশাসন ও সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার করা অপরাধ, কীটনাশক দেওয়া মাছ খেলে মানুষের শারিরীক ক্ষতি হবে সুন্দরবনের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সম্প্রতি আদাচাই বন টহল ফাঁড়ির অভিযানে ২ জেলে ২টি নৌকা ১০ বোতল কীটনাশক অবৈধ ভেষাল জাল ও হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার করে, বজবজা বন টহল ফাঁড়ির অভিযানে ২টি নৌকা অবৈধ ভেষাল জাল ২০ বোতল কীটনাশক উদ্ধার করা হয়।
পরিবেশ বিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন সুন্দরবনে যদি কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার করা হয় হুমকির মুখে পড়বে সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র,ক্ষতিগ্রস্ত হবে সুন্দরবনের ভারসাম্য যাঁরা এসব অবৈধ কাজের সাথে জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় আনতে হবে।এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জে ডে হাসানুর রহমান বলেন সুন্দরবনে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক টহল কর্যক্রম অব্যহত রয়েছে। সুন্দরবনে যেকোনো অপরাধ মূলক কাজ সংগঠিত হলে শক্ত হাতে দমন করা হবে।