ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্সকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সরাসরি আঘাত’ বলে অভিহিত করে কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জুন) ট্রুথ সোশালে দেয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, এই কর একটি জঘন্য আঘাত। এর পরিণতিতে তারা সব আলোচনা বাতিল করেছেন। নতুন শুল্ক কত হবে তা আগামী সাত দিনের মধ্যে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স এমন এক ধরনের কর, যা অনলাইনভিত্তিক সেবায় আরোপ করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল, অ্যাপল, মেটা, অ্যামাজন ও মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠান। কানাডার নতুন আইন অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে কার্যকর এই কর আগামী সোমবার থেকেই বাস্তবায়ন হচ্ছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার জবাবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, এটি একটি জটিল আলোচনা যার কূটনৈতিকভাবে সমাধান হওয়া উচিত। তবে কার্নির অফিস জানায়, এখন কিভাবে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা বিবেচনা করছে কানাডা। এদিকে কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রেও আলোচনা দ্রুত পুনরায় শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন।
বাণিজ্যিক সমন্বয় পরিষদ থেকে শুরু করে চেম্বার অব কমার্স পর্যন্ত কানাডার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এই কর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। তাদের আশঙ্কা ছিল, এই কর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়াবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদেও যেসব কানাডীয় পণ্য ইউএসএমসিএ চুক্তির আওতায় পড়েনি, তাদের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হয়েছিল। এবারও সেই হুমকি নতুন করে ফিরে আসতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরই মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস নামে। ডাও জোন্স সূচক এক সময় ৫৮০ পয়েন্ট বেড়ে থাকলেও ট্রাম্পের ঘোষণার পর কমে আসে মাত্র ১৯১ পয়েন্টে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক নেতিবাচকে নেমে আসে, নতুন রেকর্ড ছোঁয়ার সম্ভাবনা হারায়। টেক-হেভি নাসডাকও ০.২ শতাংশ হারায়।
আমার বার্তা/এল/এমই