রাজধানীর আগারগাঁও তালতলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাবলু মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ফুটপাতে চা-সিগারেটে বিক্রি করতেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালতলা জনতা হাউজিং এর গেটের সামনে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় বাবলুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত বাবলুর বেয়াই আব্দুর রউফ জানান, বাবলুর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। এখানে বর্তমানে তালতলা জনতা হাউজিংয়ে থাকতেন। জনতা হাউজিংয়ের গেটের সামনে ফুটপাতে চা সিগারেট বিক্রি করতেন।
রউফ জানান, পাশেই রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তির একটি টং দোকানে চা বিক্রি করতেন বাবলুর মা। তবে কিছুদিন আগে সেই দোকানটি দখল হয়ে যায়। পরবর্তীতে গতরাতে সেই দোকানকে কেন্দ্র করে বাবলু এবং দোকান মালিক রুহুল আমিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুহুল আমিন লোহার পাইপ দিয়ে বাবলুর মাথায় আঘাত করে। এছাড়া তার ছোট দুই ভাই বুলবুল, মকিদুল ও বেয়াই মাহতাবকেও মারধর করে আহত করা হয়।
আহত অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে আগারগাঁও নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে বাবলুকে রাতে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাতে তিনি মারা গেছেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই