ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন হলে এক ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারের মূল বক্তা ছিলেন বিশ্বখ্যাত জেনেটিসিস্ট, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক এবং ডিআইইউ-এর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা স্যার ওয়াল্টার বোডমার, পিএইচডি, এফআরসিপ্যাথ, এফআরএস। তিনি “হিউম্যান জিনোম, ক্যান্সার এবং ইমিউনোথেরাপি” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
স্যার ওয়াল্টার বোডমার তাঁর বক্তব্যে মানব জিনোম গবেষণা, ক্যান্সারের চিকিৎসায় জেনেটিক্সের ভূমিকা এবং আধুনিক ইমিউনোথেরাপি কৌশলের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উদ্ভাবনী জৈবপ্রযুক্তি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কেবল জ্ঞানের সীমানা প্রসারিত করছে না, বরং বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার রোগীদের জন্য নতুন আশার আলো নিয়ে আসছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআইইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর কবির। তিনি বলেন, “মানব জেনেটিক্স ও ক্যান্সার গবেষণায় স্যার ওয়াল্টার বোডমারের অগ্রণী অবদান বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনাকে বিশ্বজুড়ে নতুন রূপ দিয়েছে। তাঁর বক্তৃতা শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য নতুন দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।”
সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও জীবন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহাবুব উল হক মজুমদার। অতিথি বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুস্তাক ইবনে আইয়ুব। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. বেল্লাল হোসেন এবং বিভাগের প্রধান ও সেমিনারের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন।
সেমিনারে বক্তারা জিন সম্পাদনা, আণবিক রোগ নির্ণয় এবং ইমিউনোথেরাপির দ্রুত অগ্রগতির ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক আয়োজন বাংলাদেশের তরুণ গবেষক ও বিজ্ঞানীদের বিশ্বব্যাপী গবেষণা সহযোগিতায় আরও সম্পৃক্ত করবে।
সেমিনারে বিপুলসংখ্যক বিজ্ঞানী, গবেষক, স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। আয়োজকরা মনে করেন, এ আয়োজন জেনেটিক্স ও ক্যান্সার গবেষণায় বাংলাদেশের ভূমিকা শক্তিশালী করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
আমার বার্তা/এমই