রাতের আকাশে রক্তিম সৌন্দর্য। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণে লালচে রূপ নিয়েছে চাঁদ। ভারত, চীন আর আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চল থেকে একেবারে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে এ ব্লাড মুন। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য আর অস্ট্রেলিয়া থেকেও উপভোগ করেছেন দর্শকরা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে আকাশজুড়ে ফুটে ওঠে এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য। পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে চাঁদ, ধীরে ধীরে নিজ উজ্জ্বলতা হারিয়ে রূপ নেয় রক্তিম আভায়। প্রায় ৮২ মিনিট স্থায়ী এই গ্রহণে বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে ব্লাড মুন।
ভারতের আকাশজুড়েও স্পষ্ট দেখা গেছে এই দৃশ্য। দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ আর চেন্নাইসহ দেশটির প্রায় সব বড় শহর থেকেই আকাশপ্রেমীরা উপভোগ করেন চন্দ্রগ্রহণের প্রতিটি ধাপ। কেউ বাসার ছাদে বসে, অনেকের হাতে ছিল টেলিস্কোপ আর ক্যামেরা, কেউ আবার মোবাইলের স্ক্রিনেই ধরে রেখেছেন মহাজাগতিক এই খেলা।
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশেও দারুণভাবে ধরা দিয়েছে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। ভিড় জমে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে। দুবাইতে আয়োজন করা হয় বিশেষ ক্যাম্প, যেখানে চাঁদ আর বুর্জ খলিফার একই ফ্রেমে ছবি তোলেন আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফাররা। অন্যদিকে জেরুজালেমের পুরনো শহরের ঐতিহাসিক প্রাচীর ঘিরে দেখা গেছে লালচে আভায় মোড়া চাঁদের অসাধারণ দৃশ্য।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার আকাশে ধরা পড়ে চন্দ্রগ্রহণের এক অনন্য দৃশ্য। ক্যামেরার ফ্রেমে দেখা যায়, লালচে আভা মণ্ডলে মোড়ানো চাঁদের সামনে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিমানের অবয়ব। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির আকাশেও দেখা গেছে এ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ।
তবে এ সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন উত্তর আমেরিকার বাসিন্দারা। তাদের অপেক্ষা করতে হবে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত। অন্যদিকে জাপানে প্রায় তিন বছর পর দেখা মেলে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের।
গ্রহণ ঘিরে নানা কুসংস্কার থাকলেও এ দৃশ্যকে ভয়ের নয়, বিস্ময় হিসেবেই দেখছেন জ্যোতির্বিদরা। অনেক দেশে আবার বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয় গ্রহণ ঘিরে।
আমার বার্তা/এল/এমই