
বাংলাদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া। আজ (৯ ডিসেম্বর) তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী। এদিন বাংলাদেশ সরকার সমাজের নানা ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখা নারীদের রোকেয়া পদক প্রদান করে। পূর্বের ঘোষণা অনুসারে এবার রোকেয়া পদক গ্রহণ করেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের তারকা ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা।
ঋতুপর্ণা চাকমার কাছে এই পুরস্কার বিশেষ, ‘প্রতিটি পুরস্কারই সম্মান ও গৌরবের। এই বছরই একুশে পদক পেয়েছি। যা অত্যন্ত গৌরবের। সেটা ছিল দলীয়। এবার ব্যক্তিগতভাবে রোকেয়া পদক পেয়েছি, সরকারের এই পদকটি তাই আমার কাছে বিশেষ।’
ঋতুপর্ণা চাকমা রাঙামাটির পাহাড়ি পরিবেশ থেকে উঠে এসেছেন। বছর দশেক আগে বাবাকে হারিয়েছেন। ছোট ভাইও আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরপারে পাড়ি জমান বছর তিনেক আগে। এত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও তার ফুটবল পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়েছে। এর স্বীকৃতি হিসেবে রোকেয়া পদক পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ঋতুপর্ণা, ‘প্রতিটি খেলোয়াড় দেশের জন্য লড়েন। সব খেলোয়াড়ই কষ্ট করে উঠে আসেন। এমন একজন ব্যক্তির নামে এমন পদক পাওয়ার পর আমার দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বেড়েছে। এই পদকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও সমাজকে আরও কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব।’
সরকার প্রতি বছরই বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে। ক্রীড়াঙ্গনের কাউকে এই পদক আগে সেভাবে দেওয়া হতো না। গত বছর কিংবদন্তি দাবাড়ু রাণী হামিদ এই পুরস্কার পেয়েছেন। এবার পেলেন ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা। ক্রীড়াঙ্গন থেকে এই পুরস্কার ধারবাহিকভাবে পাওয়ার প্রত্যাশা তার, ‘ক্রীড়াবিদরা দেশকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করে। একজন নারী ক্রীড়াবিদকে দেখে সমাজের আরও অনেকেই খেলাধুলায় ও নানা কাজে অনুপ্রাণিত হয়। ক্রীড়াঙ্গনে আমার মতো আরও অনেক নারী ক্রীড়াবিদ রয়েছেন। যারা আগামীতে এই পদক পেলে তারাও উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হবেন।’
আমার বার্তা/এমই

