ব্যর্থতায় ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। এমন হারের গ্লানি নিয়েই দেশের টিকিট কেটেছে বাংলাদেশ। ঈদ কাটিয়ে বাংলাদেশের পরবর্তী গন্তব্য শ্রীলঙ্কা। সেখানে তিন ফরম্যাটের পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলবে পুরো দল। গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজের আগে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স হতাশ হলেও উন্নতির বিকল্প দেখছেন না।
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই বাংলাদেশ একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারছেন না। যে কারণে গত দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলকে ভুগতে হয়েছে। শ্রীলঙ্কা সফরে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ১৩ জুন শ্রীলঙ্কায় পা রাখার আগে নিজেদের উন্নতি দেখতে মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশের কোচ। গতকাল হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ম্যাচে বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অবশ্যই দ্রুত উন্নতি চাই। সাদা বলের সিরিজের আগে দুইটা টেস্ট আছে। এসব নিয়ে কাজ করতে হবে, উন্নতি প্রয়োজন। শেষ ম্যাচে ব্যাটিংটা ঠিকমতো হয়েছে, যেমনটা আমরা চেয়েছি।’
দুই দলের তিনটি টি-টোয়েন্টিই হয়েছে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান করেছে ২০১ রান। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই দু্ই ম্যাচে ৩৭ ও ৫৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। লাহোরে গত রাতে (রবিবার) টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশের দুই বাঁহাতি ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ৬৪ বলে ১১০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়তে অবদান রাখেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে বাংলাদেশ করেছে ১৯৬ রান। সেই রান ১৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে টপকে যায় স্বাগতিক পাকিস্তান। এভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার ব্যাখ্যায় সিমন্স বলেছেন, ‘যতটা ভালো বোলিং করা দরকার, ততটা পারিনি। এভাবে আসলে বলতে চাচ্ছি না। আমাদের বাজে বোলিংয়ের পাশাপাশি মোহাম্মদ হারিস দারুণ ব্যাটিং করেছে। সাইম আইয়ুব ফর্মে ফিরেছে। সেও ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের বাজে বোলিংয়ের সুযোগ তারা নিয়েছে। ক্রিকেট এমনই।’
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আগামী ১৩ জুন শ্রীলঙ্কায় পা রাখবে বাংলাদেশ। ১৭ জুন গল টেস্ট দিয়ে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। সিরিজের শেষ টেস্ট হবে ২৫ জুন। এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। ২ জুলাই হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। পরের ম্যাচ ৫ জুলাই। দুটি ম্যাচই হবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হবে পাল্লেকেলেতে ৮ জুলাই। ১০ জুলাই পাল্লেকেলেতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের ম্যাচ ১৩ জুলাই, ভেন্যু ডাম্বুলা। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুলাই।
ইতোমধ্যে মিরপুরে টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রবিবার মিরপুরে সেন্টার উইকেটে সাদা পোশাকে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছে সম্ভাব্য টেস্ট স্কোয়াড ও বাংলাদেশ টাইগার্স। পাকিস্তান সিরিজ শেষে সোমবার বিকালে ও রাতে দুই ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন লিটনরা। ঈদের আগে চলবে আরও দুই দিনের প্রস্তুতি । মূল প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হবে ঈদের পর ৯ জুন।
আমার বার্তা/এমই