ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩২

ডিএসসিসি’র বর্জ্র্যে থামেনি জুলুমবাজের তান্ডব

কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ
কামরুজ্জামান মিল্টন:
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২২
আপডেট  : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৫০

  • নামে বেনামে গড়েছেন-অঢেল সম্পদ
  • মেয়রের লোক পরিচয়ের বেপরোয়া জুলুমবাজির ধান্ধাবাজি এখনো নিরবে বহাল

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)’র অঞ্চল-২’র বর্জ্র্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্বতনরা (কর্মকর্তা-কর্মচারীরা) যেন কতিপয় উর্ধ্বতনের হীনস্বার্থ সিদ্ধির বেড়াজালে নির্বিকারে আটকে আছে। একটা লম্বা সময়ে ধরে উর্ধ্বতনের অধ্বতনদের (বর্জ্র্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শক) উদ্দেশ্যমূলক হয়রানির জালে আটকে ঘুষ আদায় ও বর্জ্র্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের নায্য পারিশ্রমিক কর্তন,নানা অজুহাতে দমন-পীড়নসহ হরেক ধান্ধাবাজির দোলাচলে ভুক্তভোগীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বরাবরেরই। তবে সাম্প্রতিক সামগ্রিক অবস্থার রকম ফেরেও তা এখনো নিরবে বহাল রয়েছে। আর সদ্য এতে ভুক্তভোগী ওই শ্রেণীটির ক্ষোভ বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে,ওই সময় ধরে প্রকাশ্য ওই ধান্ধাবাজির জুলুমবাজির শিকার বিপুল সংখ্যক বর্জ্র্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অনেকে নানাভাবে রেহাই খুঁজলেও মেলেনি তা থেকে। শুধু ঘটেছে-লোক দেখানোর টুকটাক রদবদল। শুধুই এক জুলমবাজের বদলে এসেছে-আরেক জুলমবাজ। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানেও বহাল রয়েছেন তাদেরই অন্যতম একজন। তিনি এ জোনের (অঞ্চল-২) একজন পুরনো ধুরন্ধর অধ্বতন হলেও প্রায় বছর দেড়েকের মত ক্ষমতাধর উর্ধ্বতনের ওই মক্ষম ধান্ধার চেয়ারটি পেতে বসে আছেন। পদমর্যাদায় ‘সিও’ (প্রধান বর্জ্র্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা)। নাম তার-আবু তাহের। তিনি এর আগে এ জোনেরই সিআই (বর্জ্র্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শক) থেকে পদন্নোতি পেয়েছেন। আর তারপর থেকে শুরু হয়েছে তার ‘সিও’ গিরি, মানে-ওই ধান্ধাবাজির জুলুমবাজি। সাবেক মেয়র তাপসের কাছের লোক বলে পরিচিত ‘সিও’ আবু তাহের পছন্দসই সিন্ডিকেট করে এ যাবৎ নির্বিঘ্নে ১৩ টি ওয়ার্ডের ১৩ জনের বেশী পরিদর্শক ও প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের উপর জুলুমবাজির ঘুষবাজি চালিয়ে টাকার পাহাড় গড়তে মরিয়া ছিলেন। সাম্প্রতিক অবস্থায় খানিকটা নড়েচড়ে বসে ফের সাবেক কায়দায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। চলছে তার-গতানুগতিক ধান্ধাবাজির জুলুমবাজি। আর তাতে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা সুযোগ বুঝে প্রতিকারের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। অতিষ্ঠরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ সেনাবাহিনীর কাছে পর্যন্ত অভিযোগও করেছেন।

সূত্রে আরো জানা গেছে,আবু তাহের সিআই থেকে ‘সিও’ হয়েই বর্জ্র্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শকদের নানা অজুহাতে ফাঁদে ফেলে ঘুষ আদায় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হুমকি-ধমকির মুখে বেতন কর্তনসহ কর্মী খাটানোর হেরফের বাণিজ্যে বেপরোয়া ছিলেন। আর এভাবে প্রায় বছর খানেকের বেশী সময় ধরে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে উর্ধ্বতন কতিপয় ঘুষবাজের মন জুগিয়ে ছিলেন নিরাপদে। তবে ৫ই আগস্টের পর কিছুদিন নিস্ক্রিয়ও থাকেন। কিন্তু সদ্য ফের হয়ে উঠেছেন তৎপর । আর তাতে ফুঁসে উঠছে ভুক্তভোগীরা।

আর এব্যাপারে খোঁজ নিতে খিলগাঁও এলাকার ২’নং ওয়ার্ডের ভুইয়া ঝিলের ময়লার বাগাড়ে গিয়ে দেখা মেলে বেশ কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর। সেই সাথে ওই সিইও আবু তাহেরের নিযুক্ত শফিক নামের জনৈক সরদার। ‘সিও’ আবু তাহেরের সব ধান্ধাবাজির অপকর্মের দোসর শফিক পরিস্থিতি বুঝে সটকে পড়লেও পরিচয় গোপন রেখে কথা হয়-তাদের কয়েকজনের সাথে। কথোপথনে বেরিয়ে আসে-ওই সিও’র নানা ধান্ধাময় অপকর্মের ফিরিস্তি। বেরিয়ে আসে-বেতনের একটি অংশ ঘুষ দিয়ে কাজ না করেও বেতন নেয়ার প্রচলিত নিয়মের কথা। সেই সাথে একটা বড় সংখ্যক লোকের কাজের বোঝা সীমিত সংখ্যক লোকের (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) ওপর চাপিয়ে দেয়া। চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে নির্বিকারে এ নিয়মেই চলে-বাগাড় খালাশের কাজসহ অন্যান্য কাজের বিলের টাকা আত্মসাৎ। তবে এখানেই শেষ নয়। মাস শেষে তাদের বেতনের ওপর থেকেও নির্দিষ্ট একটা অংশ ওই সব বড় সারদের জন্য আদায়ও যেন বরাবরের রেওয়াজ। আর প্রতি ওয়ার্ডের ন্যায় সেখানে এ দায়িত্ব পালনে রয়েছেন-সিও স্যারের কাছের লোক বলে পরিচিত ওই শফিক ওরফে সরদার শফিক।

জনৈক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ক্ষোভের সাথে জানান,গরিবের রক্ত চুষে খাওয়াই বড় লোকের কাম। আমরা খাইটা মরি, আর সাবেরা (সিও ,আইসি) বসে বসে কাম না করনের বেতনের ভাগও খায়,আবার কাম করেও চাকরি বাঁচাতে,বদলি ঠেকাতে এ কষ্টের টেকাও পুরোটা খাওন যায় না। মাস শেষে একটা টেকা দেওনই লাগে। আর ওই টেকা ভাগাভাগি করে তারা বাড়ি,গাড়ি করে। বিদেশে ঘুরে।

একই ভাবে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ঘুরে একই ধরনের অভিযোগ মিলে ওই ক্ষমতার ‘সিও’ আবু তাহেরের বিরুদ্ধে। সেই সাথে একাধিক ওয়ার্ডের একাধিক বর্জ্র্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শকের সাথে কথায় কথায় বেরিয়ে আসে-বরাবরের রেওয়াজ ভিত্তিক ওই ‘সিও’ আবু তাহেরের বদলি,শাস্তি ও জনবল কারসাজি বাণিজ্যের বেপরোয়া ধান্ধাবাজির নানা দিক। আর এভাবেই তিনি নামে-বেনামে গড়েছেনবিত্তবৈভবের মালিক। এখনো রয়েছেন-সক্রিয়।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে জনৈক পরিদর্শক জানান,প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে যাই হোক, মাল কামানোর জন্য এ বিভাগের মক্ষম ‘সিও’। যেটিতে আছেন-আবু তাহের সাব। তাছাড়া তিনি এর আগেও পরিদর্শক থেকেও সুযোগমত কামিয়ে নিয়েছেন ঢের। এরপরও পদন্নোতি। তার মানে-সোনায় সোহাগা। একটু এদিক সেদিক হলেই বদলি, আবার স্বেচ্ছায় বদলি আর শাস্তির বদলি তো আছেই। তাছাড়া উনি ম্যানেজের মাস্টার। উর্ধ্বতনদের ম্যানেজ করে গত এক বছরে যা কামিয়েছেন, তার হিসাব চুকানোই কষ্ট। দেশে তো আছেই,বিদেশে সম্পদ করেছেন। তারপরও থামেননি। অভিযোগেরও শেষ নেই তার বিরুদ্ধে। তারপরও এখনো গতানুগতিক ভাবে চলছেন।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য ‘সিও’ (বর্জ্র্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা) আবু তাহেরের সাথে মোবাইলে কথা হয়। তবে তিনি এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। সেই সাথে অভিযোগের বিষয়ে জানালে তিনি সমাধানেরও আশ্বাস দেন।

তবে মহাক্ষমতার ‘সিও’আবু তাহেরের অর্জিত স্তুপাকৃত অবৈধ সম্পদের নমুনার আগে-নির্বিঘ্নে এযাবৎ কাড়ি কাড়ি টাকার মোহে অন্ধ হয়ে যে সব অবৈধ কর্মকাণ্ডে পৃষ্ঠ করে অসংখ্য অধ্বতন (কর্মকর্তা ও কর্মচারী)’র রক্ত চুষে এখনো বলবদ রয়েছেন,আর এ প্রতিবেদনে সে টুকুই দেখানোর প্রয়াস।

আমার বার্তা/এমই

বিদেশে অর্থপাচারে ফেঁসে যাচ্ছেন আলোচিত ব্যবসায়ী কুতুবউদ্দিন

ছিলেন সামান্য একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। এরপর হয়েছেন হাজার কোটি টাকার মালিক। গত ১৫ বছরে রকেট

এসএসএফ ডিজিকে কেন ‘টার্গেট’ করা হলো?

রাজধানীর বসুন্ধরার কে ব্লকের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক

কেরানীগঞ্জে সমবায়’র জবরদখল নেপথ্যে স্থানীয় প্রশাসনসহ নয়াহোতা

দখলদার সন্ত্রাসী হোতারা নয়া তকমায় সক্রিয় স্থানীয় প্রশাসনে এখনো বরাবরের নমুনা স্থানীয় প্রশাসন ও কতিপয় দুষ্কৃতকারীর আস্কারায়

সিভিল অ্যাভিয়েশনের প্লাম্বার কাজল এখন কোটিপতি

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এর সদর দপ্তর (বেবিচক) এর প্লাম্বার কাজল দুর্নীতি ও অনিয়ম
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

২৪ জানুয়ারি জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন: তারেক রহমান

১৬ বছর পর আপিল আবেদনের অনুমতি পেল চ্যানেল ওয়ান

স্রোতের বিপক্ষে শুধু মাঠে আছে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়

সালমান এফ রহমানের ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পেলেন যারা

উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে

গণঅভ্যুত্থানে গঠিত সরকারের ম্যান্ডেট নির্বাচিত দলের চেয়েও বেশি

শ্রমিকদের অযৌক্তিক দাবিতে বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা চালু হচ্ছে না

ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দল ঘোষণা

বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত বৈদ্যুতিক বাইক উন্মোচন করা হলো যুক্তরাষ্ট্রে

বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ চাইছে: নাহিদ ইসলাম

দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

জনগণের আস্থা অর্জনে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন: আইজিপি

নির্বাচনী এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইউএনডিপি

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বেক্সিমকোর অস্তিত্বহীন ১৬ প্রতিষ্ঠানের নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ

ডিজিটাল ওয়ালেটে দেখেন ৬৪ লাখ, কিন্তু তুলতে পারেননি এক টাকাও

রংপুরের জয়যাত্রা থামিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে রইল রাজশাহী