ই-পেপার শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রতারণার ফাঁদে সাব-কন্ট্রাক্টর সুলতান

চুক্তি অনুযায়ী ১০তলা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন
রতন বালো
২৬ মে ২০২৪, ১১:৪০
প্রতারণার স্বীকার সাব-কন্ট্রাক্টর মো. সুলতান শিকদার

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মৃত্যুর ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন সাব-কন্ট্রাক্টর মো. সুলতান সিকদার। চুক্তি অনুযায়ী, ১০তলা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। যাত্রাবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। থানা পুলিশ কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরে তিনি ঢাকা বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করার পরও তিনি শান্তিতে নেই। ওই ঘটনাটি ঘটেছে যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল ইউনিয়নের ৬৫ নং ওয়ার্ডে দক্ষিণপাড়া ইনুপট্টি এলাকায়। ওই ঘটনার মূল হোতা হচ্ছেন হাজী মনির হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান (৩০)।

জানা গেছে, মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়া ইনুপট্টি এলাকায় একটি ১০তলা ভবন নির্মাণের জন্য মো. সুলতার সিকদার সাব-কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ পান। মো. মিজানুর রহমান হলেন ওই ভবনের মালিক। তার সাথে ১০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে সুলতান সিকদার চুক্তি সই করেন। শর্তসাপেক্ষে সুলতান শিকদার কাজ পরিচালনা শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে তিনতলা পর্যন্ত ভবনের কাজ করা অবধি মিজানুর রহমান কোনো শর্ত মানছেন না এবং পাওনা টাকাও দিচ্ছেন না।

গত ১০ জানুয়ারি রাত ৮টায় মিজানুর রহমানের কাছে সুলতান সিকদার হিসাবের খাতা নিয়ে যান। মিজানুর রহমান সুলতানের কাছ থেকে খাতাটা নিয়ে নেন। পরে সুলতান হিসাবের খাতা আনতে গেলে তাকে হত্যা করে লাশ ঘুম করবেন বলে হুমকি দেন মিজান। এর পর ১৭ জানুয়ারি রাত ৮টায় সুলতান তার হিসাবের খাতা ও পাওনা লেবার বিল চাইতে গেলে সে সময়ও মিজানুর রহমান তাকে হত্যা করে লাশ পানির ট্যাংকির মধ্যে ফেলে রাখবেন বলেও ভয়ভীতি ও হুমকি দেন।

সুলতান সিকদার নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নং ১৪১২। এই জিডির চার মাসের মধ্যেও থানা পুলিশ কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল মো. সুলতান সিকদার ঢাকার বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মো. সুলতান সিকদার বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের সাব-কন্ট্রাক্টর। শান্তিপ্রিয় নিজ পেশায় সার্বক্ষণিক কর্মজীবী মানুষ। আর মো. মিজানুর রহমান ধূর্ত প্রতারক এবং আইন অমান্যকারী। তার পরও তিনি হাজী মনির হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার কোনো আদর্শ তার মধ্যে নেই। তিনি সুলতানের সঙ্গে সুকৌশলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব কেড়ে নেন। একজন শিক্ষক হয়ে এমন অসৎ কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে এলাকাবাসী শঙ্কা প্রকাশ করেন।

গাব-কন্ট্রাক্টর মো. সুলতান মিয়া বলেন, মো. মিজানুর রহমান আমাকে প্রথম কিস্তিতে তিন লাখ, দ্বিতীয় কিস্তিতে দুই লাখ টাকা নগদ প্রদান করেন এবং প্রতিদিন প্রতি শ্রমিকের মাথাপিছু দ্বিতীয় তলা নির্মাণ পর্যন্ত ৬০০ টাকা করে প্রদান করেন। তৃতীয় তলার কাজ পিলার নির্মাণে এক লাখ টাকা, সাটার ফিটিংয়ের সময় ২০ হাজার, রড বাইন্ডিংয়ের জন্য ৫০ হাজার, ছাদ ঢালাই সর্দারের খরচ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট দুই লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।

তিনি জানান, প্রথম তলার রাজমিস্ত্রির কাজ বাবদ তিন লাখ, বাউন্ডারি বাবদ এক দেড় লাখ, দ্বিতীয় তলায় আস্তরসহ গাঁথুনি সাড়ে চার লাখ টাকাসহ কাজের মোট বিল হয় ২৫ লাখ ১৬ হাজার ৫৪০ টাকা। এর মধ্যে ১৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। বাকি ১০ লাখ ১৬ হাজার ৫৪০ টাকা পরিশোধের জন্য তাগাদা দিলে মো. মিজানুর রহমান পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মিজানুরের চিহ্নিত লোকেরা হুমকি দিয়ে বলে, তোমার (সুলতান) বিল্ডিং নির্মাণ যন্ত্রপাতি নিতে এলে চিরতরে পঙ্গু করে ভিক্ষার ঝুলি হাতে ধরিয়ে দেবো।

অবশেষে মো. সুলতান তার ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ভবন নির্মাণসামগ্রী ফেলে চলে আসেন। এরপর সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ আদালতে মামলার কথা জানায়।

এ ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সমাজের লোকেরা বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা করেছেন। সে কারণে আইনগত বিষয়ে কোনো কিছুই করা হয়নি বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে হাজী মনির হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ১০তলা ভবন মালিক মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মো. সুলতার সিকদার আমার ১০তলা ভবন নির্মাণের সাব-কন্ট্রাক্টর। উনি ( সুলতান) আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা বেশি নেয়। আমি তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন, খরচ করে ফেলেছি। ভবিষ্যতে কাজ করে দেবো। তখন আমি বলেছি, কাজ আর করাব না। আমি যে পাঁচ লাখ টাকা পাই, সুলতান তা অস্বীকার করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে মারধর, হুমকি-ধমকি দেয়া হয়নি। একপর্যায়ে এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় সুলতান মিজানকে আড়াই লাখ টাকা দেয়ার জন্য। এটাই তিনি (সুলতান) মান্য করেননি। পরে তিনি যাত্রাবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং আদালতে মামলা করেন। যেহেতু সুলতান মামলা করেছেন, আইনের প্রতি আমার সম্মান আছে। বর্তমানে মামলায় যা হয় তাই তিনি মেনে চলবেন বলে তিনি জানান।

আমার বার্তা/জেএইচ

কি পেলাম, কি হারালাম, শান্তির পায়রা ফিরে আসবে কবে ?

কোটাপ্রথা সংস্কার আন্দোলন। কি হারালাম আর কি পেলাম। এই আন্দোলন আসলে ২০১৮ সালের। সে সময়

ওয়াসার ফকরুল দম্পত্তির হাউজিং ব্যবসা রমরমা! 

ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী ফকরুল ইসলাম অবৈধ উপার্জনের টাকা বৈধ করতে স্ত্রী নাদিরা ইয়াসমিন মুক্তার নামে

সিবিএ নেতা সারোয়ার যেন এক মোগল সম্রাট

* আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় ৪০০ লোককে চাকরি দিয়েছেন * নামে-বেনামে রয়েছে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা বিআইডব্লিউটিএর সিবিএ নেতা

কঠোর অবস্থানে সরকার

* কোটা আন্দোলন নিয়ে মন্ত্রীদের অবস্থান স্পষ্ট * মামলা প্রত্যাহারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম * আন্দোলন অন্যদিকে ধাবিত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হলি ফ্যামিলি মেডিকেলে আধুনিক ড্রাইল্যাবের উদ্বোধন

বাংলাদেশ নিয়ে আমার মন্তব্যকে বিকৃত করেছে বিজেপি

কোটা আন্দোলনে এক নেতা নুরকে চার লাখ টাকা দেন: ডিবিপ্রধান

বিএনপি-জামায়াতের জাতীয় ঐক্য প্রতিরোধের আহ্বান কাদেরের

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সংগঠককে গুলি করে হত্যা

আন্দোলন ঘিরে ১ লাখ নতুন সিম ঢাকায় ঢুকেছে: পলক

তারেক রহমানের নির্দেশে এমন সহিংসতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারে ইন্টারনেটের ধীরগতি

কমলা হ্যারিসকে একহাত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি বিভিন্ন ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি স্থগিত

বসুন্ধরা থেকে শিবিরের ১৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

চ্যাটজিপিটিতে এলো সার্চ ফিচার

ছিন্নমূল ২ হাজার মানুষকে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ সহায়তা

র‍্যাবের অভিযানে সারাদেশে আরও ২৯০ জন গ্রেপ্তার

নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে

সেন্টমার্টিনগামী ট্রলার ও স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার

চীন-রাশিয়ার ৪ যুদ্ধবিমানকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ধাওয়া

ঘুম থেকে উঠে শুনি আমি মারা গেছি

দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী