ই-পেপার রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর 

থেমে নেই যাত্রী হয়রানি

উমর হাদী
প্রিন্ট ভার্সন
২৩ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩৫
আপডেট  : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪৪

যাত্রী হয়রানি ও লাগেজ পেতে বিড়ম্বনা এখনো পুরোপরি বন্ধ না হলেও অনেকটা কমেছে। তবে থার্ড টার্মিনাল চালু এ সমস্যা আর থাকবে না।

এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুল রহমান- চেয়ারম্যান সিভিল এভিয়েশনের

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেমে নেই লাগেজ পেতে বিড়ম্বনা ও যাত্রী হয়রানি।

সিভিল এভিয়েশনের নানা উদ্যোগ ও কড়া নজরদারি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ কমিটির কড়া আদেশ নির্দেশ, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং, বিভিন্ন সংস্থার কঠোর নজরদারি, কোন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না যাত্রী হয়রানি ও লাগেজ পেতে বিড়ম্বনা।

যাত্রীদের অভিযোগ, অনেক সময় লাগেজ পেতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। আবার কখনো কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও লাগেজ পাওয়া যায়নি। গত ৫ বছরে এ ধরনের সহস্রাধিক অভিযোগ রয়েছে লস্ট এন্ড লাউঞ্জ শাখায়।

ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ বলেছেন, লাগেজ খোয়া যাওয়া ও লাগেজ কেটে মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে। কর্তৃপক্ষ মাঝে মধ্যে ব্যবস্থা নিলেও লাগেজ কাটা পার্টির তৎপরতা বন্ধ হয়নি।

বরং দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন ভিন্ন কথা। সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, যাত্রী হয়রানি ও লাগেজ পেতে বিড়ম্বনা এখন অনেকটা কমে এসেছে। আমরা ইতোমধ্যে যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছি।

তিনি বলেন, এখনো পুরোপুরি বন্ধ না হলেও অনেকটা কমেছে। আমরা প্রায়ই বিমানবন্দরে গণশুনানি করেও যাত্রীদের কাছ থেকে ও কর্মরত সংস্থাগুলোর সদস্যদের কাছ থেকে অভিযোগ শুনেছি, সমাধানও করেছি। তাদের পরামর্শ নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি। তবে থার্ড টার্মিনাল চালু হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। কারণ তখন সবকিছু অটোমেশন ব্যবস্থায় হবে।

চেয়ারম্যান জানান, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু হলে, তখন আর ম্যানুয়েলি কিছুই হবে না। সব হবে অটোমেশন পদ্ধতিতে। অবশ্য এজন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু অটোমেশন পদ্ধতি চালু হলেই হবে না।

কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনমানসিকতার উন্নতি প্রয়োজন। যাত্রীদের প্রতি তাদের সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।

যাত্রী অধিকার সম্পর্কে প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে, ব্যবহার ভাল হতে হবে এবং সেবার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। বলছেন, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, সিভিল এভিয়েশন বা বিমান কিংবা ইমিগ্রেশন যাদের কথাই বলেন, তাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন দরকার। সেবার মনমানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার শাহজালাল বিমানবন্দরে কথা হয় দুবই প্রবাসী আজমল হোসেনের সঙ্গে। তার বাড়ি মৌলভীবাজার। আজমল হোসেন জানান, দুবাই থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কোরবানি ঈদের ৬ দিন আগে ঢাকায় আসেন।

বিমানবন্দরে এসে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বেল্টের কাছে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক খোঁজাখুজি করার পরেও ৩টি লাগেজের মধ্যে তার ২টি লাগেজের কোন হদিস পাননি। পরবর্তীতে বিমানের কর্মকর্তারা তার হাতে একটি রশিদ ধরিয়ে দিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন।

তিনি বাধ্য হয়ে বাড়ি চলে যান। ঈদের কয়েকদিন পর থেকে তিনি কয়েক দফায় বিমানবন্দরে এসেও তার লাগেজের কোন হদিস পাননি। সর্বশেষ ২৬ জুলাই আবার এসে কয়েকদিন ঢাকায় হোটেলে থাকেন এবং বার বার লস্ট এন্ড লাউঞ্জ শাখায় যোগাযোগ করেন।

অবশেষে গত বৃহস্পতিবার লাগেজ দুইটি পেয়েছেন; তবে লাগেজ দুইটি কাটা এবং মূল্যবান মালামাল নেই।একই অভিযোগ করেছেন হবিগঞ্জের সদর থানায় কোর্ট স্টেশন রোডের বাসিন্দা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী নজরুল ইসলাম।

তার দুই লাগেজ গত দুই মাস ধরে বিমানবন্দরে যোগাযোগ করেও পাননি। শুধু আজমল ও নজরুল ইসলামই নন, কুমিল্লার লাকসামের রবিউল আলম, চাঁদপুরের রফিকুল ইসলাম তাদেরও লাগেজ খোয়া গেছে। তারা সৌদি প্রবাসী শ্রমিক।

এভাবে প্রতিনিয়ত লাগেজ চুরি ও হারানোর ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক দিন আগে লন্ডন প্রবাসী হারুন অর রশিদ হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তার একটি লাগেজ পাননি। তিনি জানান, পরবর্তীতে বিমানবন্দরে কর্মরত তার একজন আত্মীয়ের সাহায্যে এক সপ্তাহ পরে লাগেজ খুঁজে পান লস্ট এন্ড পাউন্ড শাখাতে।

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গোলডুবা গ্রামের বাসিন্দা ও লন্ডন প্রবাসী মোশাহিদ আলী জানান, ২০১৫ সালে তার ৪টি বড় লাগেজ খোয়া গেছে। আজ পর্যন্ত এগুলো পাননি। লন্ডন প্রবাসী মোশাহিদ কয়েক মাস বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করেও লাগেজের কোন কূলকিনারা করতে না পেরে অবশেষে তিনি লন্ডন চলে যান।

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি ও লাগেজ হারানোর ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। লাগেজ চুরি, লাগেজ কেটে মূল্যবান মালামাল হাতিয়ে নেয়া নিত্যদিনের ঘটনা। জানা যায়, শুধু গত ৬ মাসেই ৩৭টি লাগেজ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ের মধ্যে হারিয়েছে ২৯ জন যাত্রীর লাগেজ।

গত জুন মাসে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে পরিবারসহ ঢাকায় আসেন সুয়্যাজিল্যান্ড প্রবাসী সাহাবুদ্দিন। কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দর নামার পর দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পরেও তিনি তার ২টি লাগেজ পাননি।

পরবর্তীতে এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, পরবর্তী ফ্লাইটে লাগেজ আসবে। শামীম আহমেদ আরো জানান, কর্মকর্তারা তার নাম-ঠিকানা লিখে রাখে এবং লাগেজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দীর্ঘ দুই মাস পরেও তিনি লাগেজ পাননি।

শাজাহান নামের অপর একজন প্রবাসী জানান, এ্যায়াবিয়ার একটি ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন গত সপ্তাহে। কিন্তু তার লাগেজ পাননি। গত ৭ দিন ধরে সাভার থেকে একাধিকবার বিমানবন্দরে এসে লস্ট এন্ড পাউন্ড কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে শাজাহান তার লাগেজের কোন হদিস পাননি।

এভাবে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীদের লাগেজ হারানো যাচ্ছে। যাত্রীদের দীর্ঘদিনের এসব অভিযোগ লেগেই আছে। ভোগান্তির শিকার অধিকাংশ যাত্রীর অভিযোগ, অনেক ঘোরাঘুরি করে লাগেজ পেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাগেজের তালা ভাঙ্গা থাকে। মূল্যবান মালামাল পাওয়া যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়।

যাত্রীরা বলছেন, বিদেশ থেকে দেশে আসার পথেই নয়, যাওয়ার সময়েও লাগেজ খোয়া যাচ্ছে এবং লাগেজ কেটে মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। শুধু সাধারণ যাত্রী নয়, ভিআইপি যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এসব ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন আগে এক যাত্রী অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকা থেকে কলকাতা গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে।

কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়ে তিনি লাগেজ পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু ১টি লাগেজের তালা ভাঙ্গা। অন্যটি কেটে মালামাল নিয়ে গেছে। ওই যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা। লাগেজ কাটা পার্টি যদি লাগেজে তালা ভেঙ্গে মাদক কিংবা অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয় তখনতো বিদেশের বিমানবন্দরে গিয়ে ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।

বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএন-এর একজন কর্মকর্তা বলেন, লাগেজ কাটা পার্টি ও লাগেজ চুরি চক্রের সাথে বিমানবন্দরে কর্মরত একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। বিশেষ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন ও কাস্টমসের একটি অসাধু সিন্ডিকেট এসব কাজে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে এদের বেশ কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরাও হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বিমানের ও সিভিল এভিয়েশনের লোকজন ছাড়া কেউ লাগেজ কাটা বা চুরি করতে পারবে না। যদিও এখন সিসি ক্যামেরার সাহায্যে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। তারপরেও লাগেজ কাটা পার্টি তৎপর রয়েছে।

এ অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে এপিবিএন তৎপর রয়েছে। আবার মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানও পরিচালনা করা হচ্ছে। যাত্রীসেবার মান বাড়াতে সিভিল এভিয়েশনও তৎপর। সিভিল এভিয়েশন গণশুনানির মাধ্যমে যাত্রীদের অভিযোগ পেয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার ভোগান্তির শিকার যাত্রীদের সমস্যা সমাধান করেছে।

ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা বলছেন, শুধু লাগেজ পেতেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা নয়, বিমানবন্দরে প্রবেশ করতেও দীর্ঘ সময় গাড়িতে বসে থাকতে হয়। বিমানবন্দরের সামনে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।

বিমানবন্দরে প্রবেশের মূল গেট থেকে বাইরে প্রায় এক কিলোমিটার জট লেগে থাকে। এছাড়া প্রবেশ পথে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ ও সহজ সরল যাত্রীদের অবান্তর প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করা হয়। গত এক সপ্তাহ ধরেই এ অবস্থা দেখা গেছে।

প্রবেশের মূল গেটে বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএন, আনসার ও সিভিল এভিয়েশন যানবাহন আটক করে তল্লাশি ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সময়ক্ষেপন করছেন এবং দীর্ঘ সময় গাড়ি নিয়ে লাইনে আটকে আছেন যাত্রীরা।

দুবাই প্রবাসী রাসেলের অভিযোগ, টার্মিনালে প্রবেশের সময় প্রায় ৪০ মিনিট গাড়িতে আটকা পড়েছিলাম। গত বৃহস্পতিবার বিকালে বিমানবন্দরের প্রবেশ পথে ৩ নম্বর গেইটে রাসেলের সাথে কথা হয়। রাসেলের অভিযোগ, দেশে আসতে যেমন ভোগান্তি, যাওয়ার সময়েও তেমনি ভোগান্তি। নানা নিয়মকানুনের অজুহাতে যাত্রীদের হয়রানি করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লাগেজ পেতে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাগেজ বেল্টের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া চেকইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন, বোর্ডিং কাউন্টারেও যাত্রীদের প্রচুর ভিড়। সব জায়গাতেই ধীরগতিতে কাজ হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি ও লাগেজ পেতে বিড়ম্বনার ঘটনা এখনো অব্যাহত আছে। মনিটরিং কমিটি সরাসরি কয়েক দফায় বিমানবন্দরে পর্যবেক্ষণ করে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ যাত্রীদের কাছ থেকে পেয়েছেন।

বিমানবন্দরে কর্মরত একটি এয়ারলাইন্সের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং খুবই বাজে। তাদের দক্ষ ও ভালমানের জনবল দরকার। এছাড়া লাগেজ দ্রুত যাত্রীর কাছে পৌঁছাতে জনবল ও প্রয়োজনীয় ইকোভমেন্টও বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, লাগেজ খোয়া যাওয়া কিংবা বিলম্বে পাওয়ার একটি অন্যতম কারণ হলো ল কস্টের এয়ারলাইন্সগুলো অনেক সময় যাত্রীর সাথে একই ফ্লাইটে লাগেজ আনে না। পরবর্তী ফ্লাইটে আসে, প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এ জন্যও লাগেজ পেতে বিলম্ব হয়।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন ড. কামরুল ইসলাম বলেন, যাত্রী হয়রানি এখন অনেক কমেছে। অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীসেবার মান বাড়াতে এবং তাদের নানা সমস্যার সমাধানের জন্য চালু করা হয়েছে হটলাইন, ডায়নামিক সফটওয়্যার ও কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (সিআরএম) সফটওয়্যার। যাত্রীসহ যে কোন ব্যক্তি হটলাইন নম্বরে কল করে তথ্য জানতে পারবেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শও চাইতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, যাত্রীরা ঘরে বসেও বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন, পাবেন সেবা। কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, এয়ারলাইন্সের তথ্যসহ যে কোন সমস্যার পরামর্শ পেতে পারবেন। হটলাইনের কল সেন্টারে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং বিভিন্ন তথ্যও জানতে পারবেন। ফলে যাত্রীদের হয়রানি কমবে।

পরিচালক কামরুল ইসলাম আরো জানান, বিমানবন্দরের কল সেন্টারের লং কোড ০৯৬১৪০১৩৬০০ নম্বরটি চালু আছে। এর শর্ট কোড ১৩৬০০ তে কল করে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন যাত্রীরা। অর্থাৎ কোন এয়ারলাইন্স কখন ছেড়ে যাবে, কখন অবতরণ করবে তাও জানা যাবে।

সিভিল এভিয়েশন ও বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, যাত্রী হয়রানি অনেক কমেছে, ভবিষ্যতে আরো কমে আসবে। বাড়ছে যাত্রী সেবার মান। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। ওই ওয়েবসাইট ও হটলাইনের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তি সহজ হয়েছে এবং এখন থেকে ভোগান্তি এড়িয়ে ঘরে বসেই যাত্রীরা দ্রুত বিমানবন্দরের সকল তথ্য পাচ্ছেন।

এবি/ওজি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে উন্নয়নের রূপকার, চতুর্থবারের মতো অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সফল

আবেদ খানকে সাংবাদিকদের বেতন পরিশোধের আহবান  নেতৃবৃন্দের

দৈনিক জাগরণের সম্পাদক-প্রকাশক (মালিক) আবেদ খানকে সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

আমাকে জড়িয়ে 'আমার বার্তা ' পত্রিকায় গত ২১শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারে যে সংবাদ  পরিবেশন করেছে তা

সিআইডির এক এসআইয়ের নেতৃত্বে অপহরণকারী চক্র

‘আমি সিআইডির ওসি রবিউল বলছি, আপনার নাম কি মোস্তাফিজ? আগামীকাল দুপুরের মধ্যে মালিবাগে পুলিশের অপরাধ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন বন্ধে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে বিএনপির চিঠি

৭ জানুয়ারি লুটেরা আর ভোট ডাকাতদের নির্বাচন: এবি পার্টি

নির্বাচনি জোয়ারে বিএনপির নেতাকর্মীও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি গবেষককে গুলি করে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজতখানা লাইব্রেরীর উদ্বোধন

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হামলা করে নৌকাকে বিতর্কিত করার পরিকল্পনা করছে: গাজী

নতুন বছরের প্রথম দিনে স্কুলে স্কুলে বই উৎসব

নতুন বছরে ব্যাংক ঋণের সুদহার ১২ শতাংশ

মঈন খানের সঙ্গে এনডিআই-আইআরআই পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক

রাষ্ট্রীয় মদতে অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতার অভিযোগ বিএনপির

মেরিন সেক্টরে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

দেশের ৫ ভাগের একভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

৬০-৭০ শতাংশ ভোট না দেখাতে পারলে স্যাংশন আসবে

২০২৩ সালে ধর্ষণের শিকার ৫৭৩ নারী

বিএনপি নির্বাচনে আসার জন্য দরকষাকষি করেছে

৭০ তম জন্মদিনে গায়ক রফিকুল আলমের প্রত্যাশা

ইনস্টাগ্রাম পোস্ট শেয়ারে নতুনত্ব

ভোট সুষ্ঠু করতে যত বাহিনী দরকার নামানো হবে

ইউএফএস ও আইসিবির এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশে নাটকীয়ভাবে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু