
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচিত সরকারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে—যে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। মানুষ তার মালিকানা ফিরে পেয়েছে, তাই আজ আনন্দের দিন। আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার পথে হাঁটছি। এই আনন্দ সবার।
সোমবার চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, সবাইকে জনগণের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এর বিকল্প কোনো পথ নেই। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হবে—এটাই গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র। একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করে ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও অপরের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। একটি সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করতে হবে।
জামায়াতের সঙ্গে এলডিপি ও এনসিপির জোট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোট হতেই পারে—এটি একটি অধিকার। প্রত্যেক দলের অধিকার রয়েছে তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে তা নির্ধারণ করার। আমি এটিকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে কাকে ভোট দেবে। কোন দলের মাধ্যমে বারবার গণতন্ত্র ফিরে এসেছে এবং কারা গণতন্ত্রের বাহক—তা বাংলাদেশের মানুষের অজানা নয়।
আমার বার্তা/এমই

