ই-পেপার শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

স্বাধীনতার উপলব্ধি ও বিজয়ে বঙ্গবন্ধু

রায়হান আহমেদ তপাদার:
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০১

প্রত্যেক মানুষ তার স্বাধীন সত্তা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায়। এটা তার জন্মগত অধিকার। এই অধিকার যখন অন্যের দ্বারা লুণ্ঠিত হয় তখনই সে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। সেই দ্রোহ থেকে সচেষ্ট হয় নিজ স্বাধীনতা এবং স্বদেশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে। তাই স্বাধীনতা শব্দটির তাৎপর্য গভীর ও ব্যাপক। স্বাধীনতা ও বিজয় যে কোনো জাতির পরম আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার লাভ, গণতান্ত্রিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায়নীতিভিত্তিক সমাজ গঠন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন, জানমালের নিরাপত্তা বিধান, ধর্ম পালন, নিজস্ব সংস্কৃতি-মূল্যবোধ-বিশ্বাসের অবারিত চর্চা নিশ্চিত করা ইত্যাদি সাধারণ জাতীয় আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিটি জাতির জন্য অপরিহার্য। সুতরাং জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার তাৎপর্য অপরিসীম। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু জাতির জনকই নন বরং ভাষা আন্দোলনের জন্য লড়াই করা পাকিস্তানিদের হাতে আটক প্রথম ভাষা সংগ্রামীও। রেসকোর্স ময়দানে ১৯৪৮ সালে যখন জিন্নাহ শুধু উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দিলেন তখন বঙ্গবন্ধুও সেখানে হাজির ছিলেন। তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ তর্জনী উঁচিয়ে দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করলেন না, বাংলাও হবে পাকিস্তানের আরও একটি রাষ্ট্রভাষা। সেখান থেকেই যে সংগ্রামী দুঃসহ অভিগমন আপামর বাঙালিকে এক সুতায় বেঁধে দিল তারই অনিবার্য পরিণতি ১৯৭১ সালের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাসের অসহনীয় অস্থিরতা আর লড়াকু পথযাত্রাকে আলিঙ্গন করতে বীর বাঙালি যে মরণপণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারই সুনির্দিষ্ট যাত্রাপথে বিজয় রথ এগিয়ে যায়। নয় মাসের লড়াকু আর নিবেদিত মুক্তির সংগ্রাম সহজেই তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর সম্ভ্রমহানিকে আলিঙ্গন করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় দেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

বিজয় নিশান ছিনিয়ে আনতে সাধারণ বাঙালিরা অকুতভয় লড়াকু সৈনিকদের সহযোগিতা করেন। তাদের থাকা, খাওয়া, সংগ্রামী দুঃসময়ে সাহচর্য দেয়া ছাড়াও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ভারও নিতে হয় দেশে অবস্থান করা অগণিত বাঙালিকে। আহতদের শুধু চিকিৎসা নয় বরং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিচর্যায় সুস্থ করে তোলাও ছিল দুঃসহ পরিস্থিতির ন্যায্যতা। তাই শুধু লড়াইয়ের ময়দান কিংবা গুপ্ত আক্রমণই নয় বরং ঘরে বসেও বহু নারী-পুরুষ সংগ্রামী অভিগমনকে যাপিত জীবনের অনুষঙ্গ করে নিতে মোটেই দেরি করেননি। তা না হলে বিজয় কেতন ওড়াতে আরও যে কত সময় লাগত তা বলা মুশকিল। স্বাধীনতা সংগ্রামের অস্থির সময়ে লড়াইয়ের ময়দান ছাড়াও অন্য আর এক বিধ্বংসী আক্রমণ সারাদেশকে লজ্জায়, অপমানে আধোবদনও করে দেয় কয়েক লাখ অসহায় নারীর সম্ভ্রমহানিতার চরম নৃশংসতায়। দেশ এমনি এমনি স্বাধীনতা নামক মহান অর্জনকে ধরতে পারেনি। ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে আর অসংখ্য রমণীর কমনীয় শৌর্যকে ক্ষতবিক্ষতের পরিণাম থেকেই আসে মুক্তির স্বাদ। তখনকার নৃশংস আদিমতম অনাচার আর অত্যাচারের নির্মমতা ভোলা যায় না। মন থেকে মুছে ফেলতে কষ্ট হয় বেদনায় জর্জরিত হওয়াও মুক্তিযুদ্ধের অসহনীয় ক্ষতবিক্ষত আঁচড়। সঙ্গত কারণে বিজয় দিবস তার আগমনী বার্তা জানান দিলে অসংখ্য মানুষ হাহাকার, চিৎকারে জর্জরিত হন, যা বাঙালির হৃদয়কে আজও ভয়ঙ্কর সব স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে এটাই তো গর্বের বিষয়।১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর নয় মাসের লড়াকু অভিযাত্রার যবনিকাপাতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে বিশ্বকে চমকে দেয়। তার পটভূমি, এগিয়ে চলা এবং শেষ অবধি পরিণতি লাভ ঐতিহাসিক যাত্রাপথ তো বটেই।

পাক ভারত উপমহাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আবহমান বাংলা ও বাঙালি তার চিরায়ত বৈভব আর ঐশ্বর্যে যে মিলন সৌধ তৈরি করে তা আজ অবধি সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রয়েছে। বহিরাগত আর্যরা এদেশে আধিপত্য বিস্তার করলেও আবহমান বাংলার শাশ্বত শৌর্যে আঁচ লাগাতে পারেনি। বিভিন্ন রাজবংশের অভ্যন্তরীণ লড়াই, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, আভি- জাত্যের গৌরব সবই নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থেকে যায় বলে ইতিহাসে বিধৃত আছে। ভারতে ধর্মীয় অসনহশীলতায় হিন্দু মুসলমান দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিলে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ অপরিহার্য হয়ে যায়। যা আজ অবধি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপরিণামদর্শিতার দাবানল হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে আছে।সেখানে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ও সেই ৪৭-এর দেশ বিভাজনের অপ্রত্যাশিত শিকড়ের ভেতরে গেঁথেই ছিল। কারণ শুধু ধর্ম অবিভক্ত পাকিস্তানকে এক সুতায় গ্রথিত করতে বারবার হোঁচট খেয়েছে। ভাষা, চিরায়ত সংস্কৃতি, নিত্য যাপিত জীবনের আচার অনুষ্ঠান সবই বিভাজনের কঠিন আবর্তে পড়ে যায়। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি প্রথমেই ভাষার প্রশ্নে পুরো দেশের জনগোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্নতার সহিংস আবর্তে ফেলে দেয়।সেখান থেকে শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বীজ বপন।১৯৪৮ সালে জিন্নাহ কর্তৃক উত্থাপিত উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা-সেখান থেকেই শুরু হয় মাতৃভাষাকে স্বমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে বাঙালিদের ঐতিহাসিক কর্মদ্যোতনা। বিজয়ের মাস যখন তার শুভাগমনের পদধ্বনিতে আমাদের সচকিত করে সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া জাগায় মাতৃভাষার অভাবনীয় গৌরবের ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনের লড়াকু সৈনিকরা স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সাবলীলতায় এগিয়ে দেয়। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর মাতৃভাষার আন্দোলন একে অপরের সহায়ক ও পরিপূরকও বটে।

জাতিকে মেধাশূন্য করার যে ক্ষতবিক্ষত আঁচড় তা আজও বাঙালির মেধা ও মননে চিরস্থায়ী বেদনায় জর্জরিত হয়ে আছে। আর ৩০ লাখ শহীদানের আত্মোৎসর্গতায় যে বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা ও মুক্তির আস্বাদ জাতিকে পূর্ণ করে, সেখানে লাখো মুক্তি সংগ্রামীর মূল্যবান জীবনও কোনোভাবেই উপেক্ষিত হতে পারে না। বিজয় কেতনকে তার অবস্থানে নিয়ে যেতে আপামর বাঙালিকে যে মরণপণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় তাও ঐতিহাসিক মহাদুর্বিপাক। স্বাধীন বাংলার স্থপতির অনন্য ভূমিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুঃসাহসিক আর ঐতিহ্যিক কর্মদ্যোতনা আজ অবধি স্বাধীন ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশকে অভীষ্ট সোপানে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।উত্তাল মার্চের অবিস্মরণীয় ঘটনাপঞ্জিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতায় নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ আর নিবেদন করেছিলেন তাও স্বাধীন বঙ্গভূমির অনন্য শৌর্য। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আজ অবধি বাংলার ইতিহাসের এক স্মরণীয় ও বরণীয় দলিল। যা বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশীদার হতেও সময় লাগেনি। ভাষা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় কেতন আর স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে একীভূত হয়ে আছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ আধুনিক ও প্রযুক্তির বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট দেশে উপনীত হওয়া এক অবিস্মরণীয় গৌরবগাঁথা।তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নিরন্তর কর্মযোগ আর পিতার রেখে যাওয়া স্বপ্নের পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশাত্মবোধের অনন্য মহিমায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নত বিশ্বের কাতারে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় সমর্পিত হয়ে যারা দেশের পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির লড়াইয়ে উৎসর্গিত হয়েছেন তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল শুধু একটি স্বাধীন মাতৃভূমি। যেখানে বিজয় কেতন উড়িয়ে লাল সবুজের ঝলমলে পতাকা তুলে ধরা ছাড়াও মুক্ত দেশে নির্মল পরিবেশে আপামর জনগোষ্ঠীর জীবনমান হবে নিরাপদ।

সেই স্বাধীন বাংলাদেশ তার উন্নয়নের পালাক্রমে ৫২ বছর অতিক্রম করার অনন্য মাহেন্দ্রক্ষণে। এ যেন বিস্ময়কর এক অভাবনীয় অনুভূতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেননি, সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে রেখে গেছেন অর্থনৈতিক দর্শন। রক্তে ভেজা সংবিধানেই স্থান দিয়েছেন দারিদ্র্য মুক্তির পথনির্দেশনা। বৈষম্য তাড়াতে ব্যক্ত করেছেন প্রতিশ্রুতি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ছিলেন নির্ভীক। পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-বঞ্চনা দেখে ১৯৪৭ সাল থেকেই স্বাধীনতার বীজ বুনেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পার হয়ে দেশকে স্বাধীন করার পর জাতির পিতা একটি শোষণ, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তাঁর অর্থনৈতিক দর্শনের মূল কথা ছিল সাধারণ মানুষের মুক্তি। স্বাধীনতার পর চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ঘাতকের হাতে প্রাণ দিতে হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেই নবগঠিত দেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা এবং কাজের সূচনা করে দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু এমন একটি অর্থনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন যাতে শোষণ-বঞ্চনাহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। মানুষের মঙ্গল সাধনে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু প্রয়াস গ্রহণ করেছিলেন, যাতে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল পরিধায় মানুষের কল্যাণ সাধন করা যায়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করা যায় এবং জনকল্যাণের লক্ষ্যে সর্বজনীন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায় ও উন্নয়নের ফল বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সমভাবে বণ্টিত হয়। বঙ্গবন্ধু সব সময় শ্রমজীবী, মেহনতী মানুষের কথা ভেবেছেন।কৃষিজীবীদের প্রতি তাঁর ছিল সুগভীর ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধু সব সময় চাইতেন ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত এবং নিরক্ষরতামুক্ত রাষ্ট্র গঠনের জন্য বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বৈষম্য- হীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কাঠামোতে যে বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন তা হলো, সাধারণ জনগণের উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বোচ্চ জনকল্যাণ নিশ্চিত করা। যা আজকের সময়ের প্রেক্ষাপটে অর্থাৎ তাঁরই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে। এই মধ্যম আয়ের দেশের অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকারের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত, সামাজিক সূচকে আমাদের কেমন অগ্রগতি অর্জন করতে হবে, বিশ্বমানের মানবসম্পদ কীভাবে গড়ে তোলা সম্ভব তার সবই রয়েছে মানবতার মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অর্থনৈতিক দর্শনে। বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ২০ দিনের মাথায় ৩১ জানুয়ারি সর্বপ্রথম যে প্রতিষ্ঠানটি গড়েতোলেন সেটি হলো বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন। লক্ষ্য ছিল অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার, সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা,পুনর্বাসন দ্রুততর করা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা-যাতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ে, কর্মসংস্থান তৈরি হয়। মৌলিক চাহিদা মেটাতে সরকারের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত, সামাজিক সূচকে আমাদের কেমন অগ্রগতি অর্জন করতে হবে, বিশ্বমানের মানব সম্পদ কীভাবে গড়ে তোলা সম্ভব তার সবই রয়েছে জাতির পিতার অর্থনৈতিক দর্শনে। রাষ্ট্রীয়ভাবে দারিদ্র্য মুক্তির লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনা শুধু বাংলাদেশেই প্রাসঙ্গিক তা নয়, পিছিয়ে পড়া অন্য জাতি ও রাষ্ট্রের জন্যও হতে পারে পথনির্দেশিকা। একটি দেশের স্বাধীনতা সেদিনই সার্থক হয় যেদিন দেশের আপামর জনগণ প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক পরিবেশে, নিজেদের নাগরিক অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা অর্জন করে।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

আমার বার্তা/রায়হান আহমেদ তপাদার/এমই

ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের অন্তরায়

ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রলাভের অধিকার প্রত্যাখ্যান করে  ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোটের

নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার

কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে হয়, “বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বনাম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে ছাত্র আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে অধিকার

যুদ্ধ আক্রান্ত বৈশ্বিক সংকট ও ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন

মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো সম্প্রতি ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিক
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

র‍্যাবের অভিযানে সারাদেশে আরও ২৯০ জন গ্রেপ্তার

নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে

সেন্টমার্টিনগামী ট্রলার ও স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার

চীন-রাশিয়ার ৪ যুদ্ধবিমানকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ধাওয়া

ঘুম থেকে উঠে শুনি আমি মারা গেছি

দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী

নতুন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি ড. ইউনূসের

এক দফা দাবিতে ‘জাতীয় ঐক্যে’র ডাক বিএনপির

আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী

বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল সাগরের, ফিরলেন লাশ হয়ে

দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে

সাংবাদিক সাঈদ খানকে গ্রেপ্তারে বিএফইউজে ও ডিইউজের নিন্দা

ঢাকাসহ চার জেলায় আজ ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ

নদীর বুকে প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধন

পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে

২৭ জুলাই ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

এক দফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিল বিএনপি

গণ-আন্দোলন দমাতে কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দিতে চাইছে

সহিংসতায় ঢাকায় ২০৯ মামলা, গ্রেপ্তার ২৩৫৭