ই-পেপার রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

টেকসই উন্নয়নের অন্যতম শর্ত মানবসম্পদের উন্নয়ন

রায়হান আহমেদ তপাদার
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৮

মানুষ কিছু সহজাত ও সুপ্ত প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সহজাত ও সুপ্ত ক্ষমতা বিকাশের অনুকূল পরিবেশ পেলে জ্ঞান-দক্ষতা-প্রজ্ঞা-প্রগতিশীলতা দ্বারা সমৃদ্ধশালী, স্বনির্ভর দেশ গড়ার মহতী প্রচেষ্টায় জাতি গঠনের পথ আরও প্রশস্ত হবে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সৃষ্টি হিসেবে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব তখনই বজায় থাকে, যখন তার কর্ম ও দক্ষতার মাধ্যমে পৃথিবী জয় করে। সে সফল ও সার্থক এবং নিজেকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়ে ওঠে। মানবসম্পদ হচ্ছে মানুষের শক্তি, দক্ষতা, মনোবল, মেধা, সৃজনশীলতা, জ্ঞান; যা পণ্য উৎপাদন ও সেবার ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়ে থাকে। যে কোনো দেশের উন্নয়নে সে দেশের জনশক্তি তথা মানবসম্পদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। বর্তমানে বাজারের অবস্থা এবং মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে প্রস্তাবিত ন্যূনতম মজুরি কাঠামোয় শ্রমিকদের জীবনধারণ সম্ভব নয়। অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় পণ্যের মূল্য আকাশচুম্বী। খাদ্য মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে পৌঁছেছে। সুতরাং বছরে ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়িয়ে শ্রমিকদের জীবনধারণে স্বস্তি দেয়া যাবে না। বাজারে প্রতিদিনের পণ্যমূল্য দেখলে মূল্যস্ফীতির ভয়াল রূপটি উঠে আসে। আমরা নিম্নমধ্যবিত্তের বাজার সদাই পর্যালোচনা করে দেখেছি, মাছ-মাংস ছাড়াই খাবারের জন্য চার সদস্যের একটি পরিবারের মাসিক ব্যয় ৭ হাজার টাকার ওপরে। যদি সাধারণ খাবার খরচই এত হয় তাহলে বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত খরচ, শিক্ষা খরচ, চিকিৎসা ব্যয়সহ পরিবারের মোট ব্যয় কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়! শ্রমিকরা ২৩ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবি করেছিলেন। বাজারের সঙ্গে বিবেচনা করলে তাদের চাহিদা বেশি নয়। তবে মালিক পক্ষ বলছেন, তাদের তো মুনাফা বাড়ছে না। যেসব ক্রেতার কাছে তারা পোশাক বিক্রি করছে সেখান থেকে তারা বাড়তি দাম পাচ্ছেন না।

যদিও ডলারের বিপরীতে টাকার যে অবমূল্যায়ন হয়েছে সেখানে তাদের রফতানি আয় বাড়ার কথা। কিন্তু তারা বলছেন কাঁচামালের আমদানি খরচ, পরিবহন ব্যয় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যয় ইত্যাদি বেড়েছে। তাই তাদের মুনাফা বাড়েনি। কিন্তু তাই বলে শ্রমিকের বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম মজুরি বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে দেয়া যাবে না সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রমিকদের ন্যূনতম জীবনযাত্রার মান ধরে রাখতে তাদেরকে একটি যৌক্তিক মজুরি না দিলে তৈরি পোশাক খাত টিকে থাকার ঝুঁকিতে থাকবে। কেননা পশ্চিমা দেশগুলো শ্রম অধিকার এবং মানবিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার।কমবেশি সবারই জানা, আমাদের দেশে ঘুস বা দুর্নীতির চর্চাটা অনেক বেশি এবং সরকারি সেবা পেতে সবাইকে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়। যদি কেউ ঘুস না দিতে চায় তাহলে তার কাজ বিলম্বিত হয় কিংবা কখনো কখনো কাজটা হয়ই না। এ টাকা দেয়াটাকে ঘুস না বলে অনেকে বলেন স্পিডমানি। নাম যা-ই হোক না কেন কাজ করাতে কিন্তু অর্থ দিতে হচ্ছে। এ ধরনের অর্থের লেনদেন বন্ধ করা এত সহজ নয়। যেহেতু এটা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। অনিয়মটাই নিয়মে পরিণত হয়েছে। এটা বন্ধ করতে হলে কঠোর হস্তে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অথচ সরকারি সেবার জন্য জনগণ তো কর দিচ্ছেই। তাহলে এ বাড়তি অর্থ কেন? পুরো প্রশাসনিক কাঠামোয় স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা আনতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্প খাত আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। কারণ আমরা শিল্পায়নকে এখনো বহুমুখী করতে পারিনি। আমাদের শিল্প খাত এই একটি খাতের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে। শুধু শিল্প খাত নয়, আমাদের পুরো অর্থনীতির ভিত হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্প। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের একটা বড় অংশ আসে এ খাত থেকে। এ খাতের বাধাগুলো দূর করতে না পারলে এবং খাতটিকে দুর্নীতি মুক্ত করতে না পারলে এ খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে না।

পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জন্য একটি মজুরি বোর্ড গঠিত রয়েছে। যেখানে সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধি থাকে। এই বোর্ড গঠনের উদ্দেশ্য হলো, ত্রিপক্ষীয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা। প্রতি পাঁচ বছর পর পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দেখা যায়, শ্রমিকদের চাহিদার অনেক নিচে মজুরি বোর্ড মজুরি নির্ধারণ করে। আর এটি সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় মজুরি বোর্ড হলেও শ্রমিকদের পক্ষে কেউ কথা বলে না। এমনকি সরকারও শ্রমিকদের পক্ষে থাকে না। সরকার মালিকদের চাপের মুখে শ্রমিকের স্বার্থ পুরোপুরি চায় না। তাই শ্রমিকদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হয়। কিন্তু তাতেও তাদের চাহিদাকে আমলে নেয়া হয় না। বরং দেখা যাচ্ছে শ্রমিকদের জীবনহানি হচ্ছে। শ্রমিকদের আন্দোলন বন্ধ করার জন্য সহিংস পথ অবলম্বন করা হচ্ছে। নিজের ঘাম আর শ্রমের বিনিময়ে পরিবার নিয়ে জীবনধারণের জন্য একটু বাড়তি মজুরি চাইতে গিয়ে জীবনটাই যদি চলে যায়-এর চেয়ে করুণ ঘটনা আর কী হতে পারে? বাংলাদেশের আর সস্তা শ্রমিকের দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রতিযোগিতা করা উচিত নয়। সস্তা শ্রমের পরিচয় নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে দীর্ঘদিন টিকে থাকা যাবে না। কারণ শ্রমিককে ন্যায্য মজুরি দেয়া শ্রম অধিকার এবং কমপ্লায়েন্সের অংশ। কমপ্লায়েন্ট কারখানা মানে তো শুধু ভবনের নিরাপত্তা, আগুন-নিরাপত্তা, সবুজায়ন এসব নয়, শ্রমিকের নিরাপত্তাও এর অংশ।আমরা যদি শ্রম অধিকার আইন বাস্তবায়ন না করতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের রফতানি বাধার সম্মুখীন হবে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি এবং এভরিথিং বাট আর্মস বা ইবিএর আওতায় বাজার সুবিধা চলে যাবে।

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটার পরও যদি জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে চাই তাহলে আমাদের শ্রমিকের কল্যাণ, শ্রমিকের নিরাপত্তা, তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। কিছুদিন আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল এসব ক্ষেত্রে দেশের পোশাক খাত কতখানি উন্নতি সাধন করেছে এবং সামনের দিনের প্রস্তুতি কেমন তা পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিল। তারা যে সব ব্যাপারে সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে গেছে তা কিন্তু নয়। কেননা বাংলাদেশ এখনো অনেক ক্ষেত্রে তেমন অগ্রগতি লাভ করতে পারেনি। শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা তার মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে এ খাতের উৎপাদনশীলতাও বাড়াতে হবে। এর জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং শ্রমিকের দক্ষতা বাড়াতে হবে। উন্নত ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।দেশে শ্রমিক অসন্তোষ এবং বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়মিত আলাপ-আলোচনার ওপর জোর দিয়ে আসছি। এতে করে একে অন্যের মধ্যে আস্থার অভাব কমানো সম্ভব হবে।এ ধরনের আলোচনায় বিদেশী ক্রেতা ও ব্র্যান্ডদেরও আমন্ত্রণ জানানো উচিত যাতে তারা মাঠের বাস্তবতা ঘনিষ্ঠভাবে দেখতে পারে। তারাও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবে। নৈতিক ক্রয় এবং ন্যায্য মূল্য দেয়াটা তাদের নিজেদের কমপ্লায়েন্সের অংশ। ক্রেতারা যেন শুধু সস্তা পোশাক কেনার দিকে নজর না দেন। দেখা যায়, আমাদের নিজেদের পোশাক রফতানিকারকরাই নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে দাম কমিয়ে ক্রেতা আকৃষ্ট করেন।এ ধরনের প্রতিযোগিতা শুধু অসুস্থই নয়, তা শ্রমিকের কল্যাণ বিরোধী। কারণ যে অর্ডারগুলো আছে সেগুলো তো সময়মতো পাঠাতে হবে। অর্ডারগুলো সময়মতো পৌঁছতে না পারলে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, আমাদের বাজার হাত ছাড়া হতে পারে।

মনে রাখতে হবে যে এখানে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আছে। অনেকেই এ বাজারে ঢুকতে চাচ্ছে। তারা কিন্তু তাকিয়ে আছে কীভাবে বাংলাদেশের জায়গাটা নেবে। সুতরাং এ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গেলে আমাদের চলবে না।কারণ এটা তো আমাদের অর্থনীতির একটা মেরুদণ্ড।সুতরাং শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেয়াটা অত্যাবশ্যক। যাতে তারা খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারে। আরেকটা বিষয় দেখেছি, যখনই এ মজুরি নির্ধারণের সময় হয় তখনই সেটা প্রলম্বিত হয়। এবার ছয় মাস লেগে গেল মজুরি ঘোষণা করতে করতে। কিন্তু ছয় মাস তো জিনিসপত্রের দাম বসে নেই, মূল্যস্ফীতি বসে নেই। সুতরাং মজুরি ঘোষণার বেলায় কালক্ষেপণ বন্ধ করতে হবে। আজকাল উন্নয়ন বলতে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন বোঝায় না। উন্নয়নটা কীভাবে হচ্ছে, এটি পরিবেশ নষ্ট করছে কিনা, সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে কিনা, সেগুলো বিবেচনা করতে হয়। কারখানার মধ্যে আলো-বাতাস ঠিকমতো আসছে কিনা, আশপাশে গাছপালা আছে কিনা, কারখানার সামনে জায়গা আছে কিনা, পানি অপচয় রোধে কারখানায় ব্যবহৃত পানি পরিষ্কার করে আবার ব্যবহার করা হয় কিনা, সেগুলো দেখতে হয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কারখানায় কী ধরনের জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তারা নবায়নযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়াচ্ছে কিনা। এছাড়া কারখানা থেকে যে দূষিত পানি নদী-নালা-পুকুরে যাচ্ছে তা পরিষ্কার করার জন্য ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) রয়েছে কিনা তাও দেখতে হবে। কারখানা থেকে বের হওয়া পানি যাতে জনপদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। শুধু জনপদ নয়, খেয়াল রাখতে হবে যাতে পশুপাখি, কৃষিজমি নষ্ট না হয়। কারখানার মধ্যে যে কাপড় অবশিষ্ট থাকে তা থেকে ধুলো, বালি, ময়লা সৃষ্টি হয়। সেগুলো পুনর্ব্যবহার বা অন্য কিছু তৈরির ব্যবস্থা আছে কিনা, কারখানার বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা আছে কিনা-মোটা দাগে, এসব কর্মকাণ্ডই সবুজ পোশাক শিল্পের অংশ।

সবুজ কারখানা যে কারণে জরুরি।তা হচ্ছে,আন্তর্জাতিক ভাবে আমরা যেসব দেশে পোশাক পাঠাচ্ছি জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সে দেশগুলোর অঙ্গীকার। জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বার্ষিক কনফারেন্স আয়োজন করে যেটিকে বলা হয় কনফারেন্স অব পার্টিজ বা কপ। সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে উন্নত দেশগুলো ২০২১ সালে কপ২৬-এ প্রতিজ্ঞা করেছে যে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনবে। কোনো কোনো উন্নয়নশীল দেশ ২০৬০ বা ২০৭০ সালের মধ্যে এ লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করতে চায়। কার্বন ডাই-অক্সাইড মানুষের স্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশ্বের দেশগুলোর এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য, কারখানা, নির্মাণ খাত, পরিবহন খাত, কৃষি, জ্বালানি-সর্বত্র কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব কমানোর উদ্যোগ চলছে। তারই অংশ হিসেবে পোশাক শিল্পের উৎপাদন প্রক্রিয়া, সরবরাহ শৃঙ্খল এবং বাজারজাতের সব ধাপে কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রচেষ্টা চলছে। তাছাড়া বাংলাদেশ সরকারেরও প্রতিজ্ঞা রয়েছে কার্বন নিঃসরণ কমানোর, যদিও বাংলা দেশের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ খুবই কম এক কথায় পরিবেশবান্ধব উৎপাদন এবং সর্বোপরি বাজার ধরে রাখার জন্য সবুজায়ন খুবই জরুরি।মানব সম্পদ উন্নয়ন একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের বড় খাত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর আজকের অবস্থানের মূলে মানবসম্পদ উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি দরকার এ সম্পদ কাজে লাগানোর ক্ষেত্র প্রস্তুত করা।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

আমার বার্তা/রায়হান আহমেদ তপাদার/এমই

রাজনৈতিক সংকটে অর্থনৈতিক ঝুঁকি বাড়তে পারে

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট কেটে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। বরং তা আরও গভীর ও দীর্ঘ হচ্ছে।

বছর শেষে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও নতুন বছরে প্রত্যাশা

বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে গত প্রায় সাত বছর ধরেনানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতিরশিকার হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট সরকার ও ছয় দফা

১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুন হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী এবং মাওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ

শীত প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের পূজারী

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর এমন দেশে প্রত্যেক ঋতু তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়েই আবির্ভূত হয়।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন বন্ধে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে বিএনপির চিঠি

৭ জানুয়ারি লুটেরা আর ভোট ডাকাতদের নির্বাচন: এবি পার্টি

নির্বাচনি জোয়ারে বিএনপির নেতাকর্মীও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি গবেষককে গুলি করে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজতখানা লাইব্রেরীর উদ্বোধন

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হামলা করে নৌকাকে বিতর্কিত করার পরিকল্পনা করছে: গাজী

নতুন বছরের প্রথম দিনে স্কুলে স্কুলে বই উৎসব

নতুন বছরে ব্যাংক ঋণের সুদহার ১২ শতাংশ

মঈন খানের সঙ্গে এনডিআই-আইআরআই পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক

রাষ্ট্রীয় মদতে অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতার অভিযোগ বিএনপির

মেরিন সেক্টরে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

দেশের ৫ ভাগের একভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

৬০-৭০ শতাংশ ভোট না দেখাতে পারলে স্যাংশন আসবে

২০২৩ সালে ধর্ষণের শিকার ৫৭৩ নারী

বিএনপি নির্বাচনে আসার জন্য দরকষাকষি করেছে

৭০ তম জন্মদিনে গায়ক রফিকুল আলমের প্রত্যাশা

ইনস্টাগ্রাম পোস্ট শেয়ারে নতুনত্ব

ভোট সুষ্ঠু করতে যত বাহিনী দরকার নামানো হবে

ইউএফএস ও আইসিবির এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশে নাটকীয়ভাবে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু