
রাজনীতিতে জড়িত কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে না দিতে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি। এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংলাপের প্রথম পর্বে ৪০ দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে সিইসি বলেন, “নির্বাচন কমিশন একা এটা করতে পারবে না। আপনাদের চোখ দিয়েই আমরা নির্বাচনকে দেখতে চাই। আপনাদের দায়িত্বশীলতা ও নিরপেক্ষতার ওপরই অনেক কিছু নির্ভর করবে।’
নাসির উদ্দীন জানান, এবারের নির্বাচনে ২১ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীরাও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবেন।
নতুনদের মধ্যে অনেকেই অভিজ্ঞ নয় উল্লেখ করে সিইসি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে দ্রুত ওরিয়েন্টেশন ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করার আহ্বান জানান।
নাসির উদ্দীন বলেন, পর্যবেক্ষকদের মূল দায়িত্ব হবে মাঠ পর্যায়ে প্রকৃত বাস্তবতা তুলে ধরা। অনিয়ম শনাক্ত করলেও হস্তক্ষেপ না করে তা সঠিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে।
সতর্ক করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আপনাদের লোকজন রাজনীতিতে জড়ালে সবকিছু ড্যামেজ হয়ে যাবে। কোনোভাবেই রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকা ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আইন অনুযায়ী কাজ করছেন কি না, তা নজরে রাখতে হবে। গ্রাউন্ড রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার হতে পারে।
‘আমাদের লক্ষ্য একটাই, একটি ক্রেডিবল, সুন্দর, ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সভায় নির্বাচনী আচরণবিধি, ভোটের দিন পর্যবেক্ষকদের করণীয় এবং বিভিন্ন ধাপে রিপোর্টিংয়ের নিয়ম সম্পর্কে পর্যবেক্ষকদের সচেতন করারও পরামর্শ দেন সিইসি।
আমার বার্তা/এর/এমই

